বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদীর প্রচন্ড ডেউয়ের তোড়ে পটুয়াখালীর দশমিনার তেতুলিয়া নদীর পাড়ের পারিবারিক কবরস্থান থেকে অক্ষত অবস্থায় বের হওয়া কাফনের কাপড় মোড়ানো ৪৬ বছর আগে দাফন করা হাশেম ফকিরের দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুনরায় দাফন করা হয়েছে।
হাশেম ফকিরের ছেলের নাতী গলাচিপা উপজেলার এটিও মিজানুর রহমান জানান, তাদের দশমিনার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূনী এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের তেতুলিয়া নদীর পাড়ের মূল বাড়ির এক তৃতীয়াংশ নদীতে ভেংঙ্গে গেছে।যার ফলে তাদের বাড়ির পূর্বপুরুষের কবরস্থানটি বর্তমানে তেতুলিয়া নদীর ভাংগনে বিলুপ্তির পথে। সম্প্রতি ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে তেতুলিয়া নদীর প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে কবরটি ভেংগে কাফনের অক্ষত কাপড় বের হয়ে পরে। গত বৃহস্পতিবার নদীতে মাছ ধরা জেলেরা প্রথমে নদীতে মাছধরার সময় ঐ নদীর পাড়ে মাটির গভীরে সাদাকাপড় দেখতে পেয়ে ঐ স্থানটি তারা কবরস্থান নিশ্চিত হয়ে তারা ঐ বাড়িরসহ স্থানীয় লোকজনকে জানালে মুহূর্তের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পরে। লোকজনের ভীড় হতে থাকে ঐ কবরটিকে ঘিরে।বিষয়টি তারা উপজেলা প্রশাসনকে জানান,পরবর্তীতে স্থানীয় আলেম মাওলানা মোসলেম উদ্দিনের সাথে পরামর্শ করে আজ ফজরের নামাজ বাদ কবরটি খোড়া হয়, কবর খুড়ে তারা কাফনের কাপড় একেবারে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তিনি আরো জানান,মৃত ব্যক্তির শরীরে স্ট্রাকচার খুলে যায়নি।পরবর্তিতে তারা তাদের চরঘূনীর অপর একটি বাড়িতে তাকে পুনরায় পুরাতন ঐ দাফনের কাপড়ের উপর নতুন দাফনের কাপড় পরিয়ে দাফন করনে। মৃত হাতেম ফকির ৭৫ বছর বয়সে মারা যান,তিনি একজন ধর্মভীরু,এবং স্থানীয় হাতেম ফকিরের অনুসারী ছিলেন বলে জানান মিজানুর রহমান।
হাসেম ফকিরের ছেলে খালেক ফকির (৮০) জানান, তার বাবাকে ৪৬ বছর আগে ওই স্থানে সমায়িত করা হয়েছিল। পরে নদী ভাঙনের কারনে তাদের বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলে কবর স্থানের আর কোন খোজ খবর নেয়া হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান নাসির সিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের সিভিল পোশাকের সদস্যদের উপস্থিতীতে লাশের পারিবারের লোকজন আজ শনিবার লাশটি উদ্ধার করে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছে। দশমিনা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ মোঃ সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, লাশটি উদ্ধারের পর তাদের আত্বীয় স্বজন পারিবারিক কবরস্থানে পুনরায় দাফন করেছে। দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ জসীম জানান, নদী ভাঙনের ফলে বেড়িয়ে আসা লাশটির স্বজনেরা পুনরায় তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।