Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কঠিন পরিস্থিতিতে সঙ্গীতাঙ্গণ

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

করোনার ধাক্কায় সঙ্গীতাঙ্গণ প্রায় তছনছ হয়ে গেছে। শিল্পী ও কলাকুশলীরা বেকার অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। কেউ কেউ গান প্রকাশ করলেও তার সংখ্যা নিতান্তই কম। বেশিরভাগই শিল্পীই বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের কেউ কেউ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে গান করলেও তা তাদের আয়ের সাথে সঙ্গতীপূর্ণ নয়। শিল্পীদের প্রধানতম আয়ের ক্ষেত্র স্টেজ শো। করোনার এ সময়ে স্টেজ শো বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে শিল্পী ও কলাকুশলীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত বছর করোনার ধাক্কায় অনেক যন্ত্রশিল্পী পেশা বদল করে অন্যত্র চলে গেছেন। শিল্পীরা তা করতে না পারায় সমস্যার আবর্তে পড়েছেন। এখন গান প্রকাশ করে অর্থনৈতিক চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। তবে অনেকেই মনে করছেন, এখন মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। এই সময়ে মানুষ নিজের মৌলিক চাহিদা পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে বিনোদন কিংবা গান শোনা ও দেখার মানসিকতা নেই। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্প কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, মানুষ মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে বিনোদন নেবে, এটাই স্বাভাবিক। যেখানে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে গান-বাজনা শোনার মন-মানসিকতা মানুষের মধ্যে তেমন একটা নেই। এ কারণে আমি নিজেও গান প্রকাশ করছি না। অবস্থা ভালো হলে গান প্রকাশ করবো। আর স্টেজ শো বন্ধ থাকায় আমাদের অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা খারাপ অবস্থায় আছে। প্রার্থনা করছি যেন করোনা পরিস্থিতি দূর হয়ে সব স্বাভাবিক হয়। আসিফ আকবর বলেন, করোনার মধ্যে স্টেজ শো শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই মহামারি কবে যাবে সেটাও অনিশ্চিত। ফলে সঙ্গীতশিল্পীরা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গেছেন। অন্যদিকে, সিনেমা-নাটক সবকিছুই চলছে, শুটিং হচ্ছে। কিন্তু স্টেজ বন্ধ হওয়ায় শিল্পীরাই সব থেকে বেশি বিপাকে আছেন। এভাবে চলতে থাকলে আরো অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ান পেশা ছাড়তে বাধ্য হবেন। গানের সংখ্যাও আগের থেকে কমেছে। সবমিলিয়ে অবস্থা ভালো নয়, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সাউন্ডটেকের কর্ণধার সুলতান মাহমুদ বাবুল বলেন, এখন গানের বাজার খারাপ। প্রতিটি জায়গা থেকেই আয় কমে গেছে। এ অবস্থায়ও আমরা সাউন্ডটেক ও সুলতান এন্টারটেইনমেন্ট থেকে ঈদে বেশকিছু গান প্রকাশ করেছি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে যত সংখ্যক গান প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল, সেটা হচ্ছে না। তবে আমরা আশাবাদী, সামনে ভালো সময় আসবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ