Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মেরামত চলছে চারশ’ রেলকোচ

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

করোনার মাঝেও দেশের বৃহত্তম নীলফামারী সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কোচ মেরামত কাজ চলছে পুরোদমে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে ৪শ’ কোচ মেরামত হচ্ছে এ কারখানায়।

এরমধ্যে গত ১১ মাসে ৩৮০টি কোচ রেলওয়ে পরিবহন (ট্রাফিক) বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে বাকি কোচগুলোও হস্তান্তর শেষ হবে। এসব তথ্য জানা গেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে সূত্রে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) জয়দুল ইসলাম জানান, এ কারখনায় সারা বছর ধরে চলে মেরামত কাজ। করোনাকালেও মেরামতকাজ থেমে নেই। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কারখনায়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিন সৈয়দপুরের রেলওয়ে কারখানা ঘুরে দেখা যায়, রেলওয়ের কারখানার উপ-কারখানা ক্যারেজ, জেনারেল ওভারহোলিং (জিওএইচ) ও ক্যারেজ হেভি রিপিয়ার (সিএইচআর) শপে শ্রমিক-প্রকৌশলীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করে চলেছেন। গ্যারেজ শপের শ্রমিক আমিনুর রহমান জানান, লকডাউনে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তারা কোনো ছুটি কাটাননি। প্রতি বছরেরমতো এ বছরও মেরামতের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয় তাদের। সে অনুযায়ী তারা সবাই মিলে কাজ করছেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখনায় ৩ হাজার ২৮৪ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও এখন কর্মরত আছেন মাত্র ১ হাজার ৭০৪ জন। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে যথাসময়ে চাহিদামতো কাঁচামাল মেলে না। ওই কার্যালয়ের মজুদ থেকে রেলওয়ে কারখানাটিতে কাঁচামাল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে কাঁচামালের তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কাঁচামাল সঙ্কটের বিষয়টি স্বীকার করে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (ডিসিওএস) বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের কারণে কারখানার সময়মতো চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জাম সরবরাহ দেয়া সম্ভব হয়নি। স্বল্পসংখ্যক জনবল দিয়েই চলছে কারখানায় রেলকোচ মেরামতের নিয়মিত কার্যক্রম। আবার বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে, বিশেষ করে দুই ঈদে যাত্রীদের পরিবহনসেবা নিশ্চিত করতে দৈনন্দিন কাজের অতিরিক্ত হিসেবে মেরামত করতে হয় অধিকসংখ্যক কোচ। এই অবস্থায় জনবল ও কাঁচামাল সঙ্কট নিরসনে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন এখানকার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

কারখানার রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষিদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন অতি শিগগিরিই শূন্য পদে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে আমদানি করা রেলওয়ে সরঞ্জাম ও কাঁচামাল চট্টগ্রামের পরিবর্তে সরাসরি সৈয়দপুর স্টোর ডিপোতে সরবরাহ করলে কারখানায় উৎপাদন বাড়বে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখনার কর্মব্যবস্থাপক (ডবিউএম) শেখ হাসানুজ্জামান বলেন, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা রেলওয়েকে ৩৮০টি কোচ প্রদান করেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ