Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ি জোরপূর্বক দখল মারপিটের মুখে অসহায় ভ্যানচালক

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২১, ১:৫১ পিএম

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের পূর্ব থিপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি বাড়িতে উঠতে পারেননি শাহীনুর রহমান নামে ভূমিহীন ভ্যান চালক। সরকারি বাড়িটি তার নামে বরাদ্দ হলেও ছেলে ও নাতিদের সহায়তায় সেটি জোরপূর্বক দখল করেছেন আলেছা বেওয়া নামে এক নারী।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন জানান ওই ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি খাস জায়গায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা করে ব্যায়ে ১২টি বাড়ি নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যেই ১২টি বাড়ি তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বরাদ্দ দেওয়া হলে তারা প্রত্যেকেই এসব বাড়িতে উঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ির মালিকদের নামে সাইনবোর্ডও ঝুলানো হলেও ওই বাড়ীতে কোন সাইন বোর্ড ঝুলানো নেই। ফলে বরাদ্দ পাওয়া বাড়ীতে ভ্যান চালক শাহীনুর রহমান উঠতে পারছে না। সেখানে অবস্থান করছে আলেছা বেওয়া নামে এক নারী।


জানতে চাইলে আলেছা বেওয়ার ছেলের বউ সেলিনা বেগম বলেন ওই খাস জমিতে আমার শাশুড়ি দীর্ঘদিন ধরে বেড়ার ঘর বানিয়ে বসবাস করেছেন। অথচ আজ ১২টি বাড়ির মধ্যে আমার শাশুড়িকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই তিনি এই বাড়িতে উঠেছেন। জোরপূর্বক বাড়ি দখল করা বিধবা আলেছা বেওয়ার এক ছেলে আলম হোসেন ও আলম হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলাম ইতোমধ্যেই ১২টি বাড়ির মধ্যে দুইটি বাড়ি বরাদ্দ পেয়েছেন।

বরাদ্দ পাওয়া ভ্যানচালক শাহীনুর রহমান বলেন, প্রত্যেক পরিবার সরকারি বাড়িতে উঠলেও, শুধুমাত্র আমিই উঠতে পারিনি। আর বাড়িতে ওঠার জন্য গেলে, ওই বৃদ্ধ নারীসহ তার ছেলে ও নাতীরা আমাকে বেদম মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, বাড়ি বরাদ্দের প্রথম তালিকায় আলেছা বেওয়ার নাম ছিল। কিন্তু পরের তালিকায় শাহীনুরের নাম কিভাবে এসেছে, তা আমি জানি না।


এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন তালিকায় শাহীনুর রহমানের নামই আছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনিই বাড়িটির মালিক। জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, দু’পক্ষকে নিয়ে খুব শিগগিরই বসা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়িটি হস্তান্তর করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ