Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন, আসবে রোববার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

গরিব দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কাছ থেকে ফাইজারের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা আগামী রোববার আসবে। গতকাল ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত টিকাটি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজারের অন্তত ১ লাখ ৬২০ ডোজ কোভিড ভ্যাক্সিন আগামী রোববার বাংলাদেশে পাঠাবে বলে নিশ্চিত করেছে। আর তাই ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর গতকাল এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য চতুর্থ টিকা হিসেবে ফাইজারের এ টিকার অনুমোদন দেয়া হলো। আগামী রোববার ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। এর আগে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, রাশিয়া উৎপাদিত স্পুতনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদনের আবেদনের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নথিপত্র মূল্যায়ন করে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য বিষয় মূল্যায়নের জন্য গঠিত কমিটির কাছে পাঠায়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এর অনুমোদন দেয়া হয়ছে। যুক্তরাজ্যে গত বছরের ২ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ ডিসেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফাইজারের করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

দুই ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে অধিদফতর। এটিকে -৯০ ডিগ্রি থেকে -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি পাঁচ দিন ও ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনটি দুই ঘণ্টা ভালো থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবনরক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রাখা গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। গরিব দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।

বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।
গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কট তৈরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।

সূত্র মতে, জুনের মধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে ভারত থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি এবং কোভ্যাক্স থেকে আড়াই কোটি ডোজ পাওয়ার কথা। সরকার এ পর্যন্ত ভারত থেকে সিরামের ক্রয়কৃত ৩ কোটি থেকে ৭০ লাখসহ এক কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে। এর বাইরে চীন থেকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার পাওয়া গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করলেও টিকা স্বল্পতায় এপ্রিলে এসে প্রথম ডোজ দেয়া স্থগিত করে সরকার। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম এখনও চলছে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, টিকার ঘাটতি আছে ১৬ লাখ ডোজেরও বেশি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ