পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজউক থেকে যে নকশা অনুমোদন করে; কিন্তু ভবন নির্মাণের উচ্চতা না মানাসহ বিধিমালার তোয়াক্কা না করে অনেক ভবন তৈরি হচ্ছে। রাজউক থেকে ১ হাজার ৭৮৮টি নিয়মবহিভূত ভবনকে এর আগে চারধাপে চূড়ান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিছু ভবনকে জরিমানার নিয়ে ছাড়, কিছু আংশিক ভেঙে ফেলা এবং যে ভবনগুলোর কোনো অনুমোদন নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে রাজউকের নিয়ম মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গতকাল বুধবার রাজউকের চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান।
রাজউকের চেয়ারম্যান তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আগের পড়ে থাকা কাজগুলো বাস্তবায়ন। এর পরে নতুন পরিকল্পনা শুরু করা হবে। সাধারণ মানুষ যাতে রাজউক থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নিয়মবহির্ভূত ভবনের ‘বিশেষ অভিযান পরিচালানা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাদা আলাদা মিটিং করা হবে। তবে রাজধানীর গাড়ি পার্কিং এর বিষয়টিকে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে নিয়মবহির্ভূত ভবনের যে তালিকা আছে তা পুনরায় পরিদর্শক দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। এটাকে ‘বিশেষ অভিযান’ বলা যেতে পরে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে ভবনের মূল মালিক এবং নির্মাণকারী উদ্যোক্তা বা ডেভেলপার কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজউক অনুমোদিত নকশা আছে কি-না তা থাকলে নকশা অনুমোদন ও ভবন নির্মাণের সাল, নকশা প্রণয়নকারী স্থপতি এবং প্রকৌশলীর নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। নকশার বাইরের যদি ভবন নির্মাণ করা হয় তার বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজউকের একজন পরিচালক জানান, এটি রাজউকের চলমান প্রক্রিয়া। যারা নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বর্ধিতাংশ দ্রুত ভেঙে ফেলা উচিৎ। অন্যথায় রাজউক ব্যবস্থা নেবে। তবে যারা নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করেছে তাদের সংশোধন করার জন্য আমরা সময় দিয়েছি। প্রায় তিন হাজার ভবনের অনুমোদিত নকশা সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে কার পার্কিং এ অনিয়ম ধরা পড়েছে। পরিদর্শন করা ভবনগুলোতে এসব মানা হয়নি। বিশেষ করে বেজমেন্ট স্টোররুম বা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বেজমেন্টে জেনারেটর, সুইচগিয়ার রুম, সাবস্টেশন, বয়লার রুম কোনোভাবেই রাখা যাবে না।
রাজউকের অথরাইজড বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৪৭৪টি বহুতল ভবনের মালিকরা অভিযান চলাকালে রাজউককে নকশা দেখাতে পারেনি। এছাড়া সরকারের অন্য সংস্থার ৪৪টি বহুতল ভবনেরও নকশা পায়নি রাজউক। পাশাপাশি ৭০ শতাংশ বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাা নেই। ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত বের হওয়ার জন্য বিকল্প সিঁড়ি নেই। বাকি ৬৭ শতাংশ ভবনে এই সিঁড়ি থাকলেও ব্যবহার উপযোগী মাত্র ৪৩ শতাংশ।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী বাস্তবায়ন উজ্জ্বল মল্লিক ইনকিলাবকে বলেন, রাজউক থেকে যে নকশা অনুমোদন করে; কিন্তু ভবন নির্মাণের উচ্চতা না মানাসহ বিধিমালার তোয়াক্কা না করে অনেক ভবন তৈরি হচ্ছে। রাজউক থেকে ১ হাজার ৭৮৮টি নিয়মবহির্ভূত ভবনকে এর আগে চারধাপে চূড়ান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিছু ভবনকে জরিমানার নিয়ে ছাড়, কিছু আংশিক ভেঙে ফেলা এবং যে ভবনগুলোর কোনো অনুমোদন নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।