Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর পরিকল্পনা

ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক এবং হিমালয় কোষের ডাউনস্ট্রিমে থাকায় পানির খুব একটা সমস্য নেই। ৯৮ শতাংশ মানুষ পানির আওতায় এসেছে। ৫০ শতাংশের ওপরে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার হচ্ছে। গতকাল বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্য রিজিওনাল সেন্টার অন আরবান ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (আরসিইউডব্লিউএম)-এর বাংলাদেশের পক্ষে গভর্নিং বোর্ড মিটিং-২০২১ এ সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আঞ্চলিক পানি সমস্যা সমাধানে আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর জন্যও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহŸান জানান তিনি। উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। এজন্য মন্ত্রী আরসিইউডবিøউএম থেকে তথ্য-প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন।

আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড লাইন চালু প্রসঙ্গে আরসিইউডব্লিউএম গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলের অনেক দেশে পানি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত রয়েছে। আবার কিছু দেশের প্রয়োজনের তুলনায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল দেশের পানির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ এবং আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড নির্মাণ সংক্রান্ত ধারণাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরসিইউডবিøউএম সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন। মন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে এ ধরনের কানেক্টিভিটি থাকলে আমাদের এই অঞ্চলে কেন থাকবে না? এই অঞ্চলের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে আঞ্চলিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। ইরানের জ্বালানি মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন ইরাক, মিশর, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি এবং তুরস্কসহ ১৮টি দেশের পানি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি, এফএও, আইডবিøউএ, আইএসডিবিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক এবং পর্যবেক্ষণ সংস্থা। পানি সেক্টরের উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা এবং কৌশল বিনিময়ের লক্ষ্যে ২০০২ সালে ইউনেস্কোর তত্ত¡াবধানে আরসিইউডবিøউএম গঠন করা হয়।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ