বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ঘুরে বেড়ান এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে নাম পরিচয় বলতে পারেন না। একদিন দু’দিন করে এভাবেই কেটে গেছে তার ২০ বছর। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত দুলাল অবশেষে জানালেন তার পরিচয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টের সূত্র ধরে তাকে খোঁজে দিলেন। তিনি ফিরলেন এবার স্বজনদের কাছে। এই সময় এক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দুলাল মিয়ার বয়স ৪৫ বছর। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার উজিলাব এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে। ২৫ বছর আগে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছে পরিবার। এরপর মা-বাবা আর স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি। বর্তমানে দুলাল মিয়ার মা-বাবা বেঁচে নেই।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে দুলাল মিয়াকে সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গ্রামের হাটবাজারে ঘুরে বেড়াতে দেখছেন স্থানীয় লোকজন। যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে থাকতেন, খাবার পেলে খেতেন, না পেলে খেতেন না। সব সময় অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় ঘুরে বেড়াতেন। কেউ তার নাম ঠিকানা জানতে চাইলে বলতে পারতেন না। কয়েক দিন ধরে তার আচরণের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্থানীয় লোকজন। নিজে নিজেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হন। স্থানীয় লোকজন কথা বলে তার নাম ঠিকানা জানতে পারেন। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের এনজিও কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান দুলাল মিয়ার পরিবারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট দেন। পোস্টটি নজরে আসে দুলালের স্বজনদের। এতে তার বড় ভাই আবুল হোসেন, বড় বোন মোসাম্মৎ বেগমসহ ছয়জন সদস্য হাজির হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার তেরকান্দা গ্রামের ইউপি সদস্য ফজলুর রহমানের বাড়িতে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরীর উপস্থিতিতে দুলাল মিয়াকে তার স্বজনদের কাছে তুলে দেয়া হয়। বৃদ্ধ চাচা আফসার উদ্দিন বলেন, আমাদের রক্তের বন্ধনের একটি লোককে পেয়ে আমরা মহাখুশি হয়েছি। আমরা শিগগিরই তাঁর চিকিৎসা করাব। সাদেকুর রহমান বলেন, একজন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে, সামান্য একটু লেখায় আমি তাকে পরিবারের কাছে তুলে দিতে পেরে খুশি হয়েছি। নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী জানান, আমরা তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি। পাশাপাশি তার জমানো অর্থগুলোও তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।