পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একদল স্কুল পড়ুয়া কিশোর। ফেইসবুকে একটি গ্রুপ খুলে তারা। নাম দিয়েছে ‘চিটাগাং গে কমিউনিকেশন’ (সমকামিতা)। এ গ্রুপে যুক্ত হন মো. নিজাম উদ্দিন (৩৮) নামে এক যুবক। ওই গ্রুপের একজন অর্পণ বড়ুয়ার (১৭) সাথে তার মেসেঞ্জারে চ্যাটিং হয়। অর্পণ নিজামকে তার সাথে দেখা করতে বলে।
রোববার বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি কর্ণফুলি শিশু পার্কের সামনে দেখা করতে আসেন নিজাম উদ্দিন। এ সময় অর্পণ বড়ুয়া নিজাম উদ্দিনকে আড়ালে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে অপেক্ষা করছিল ওই গ্রুপের সদস্য রাকিবুল ইসলাম ওরফে আলিফ (১৭), আকিব হাজারী (২০), আবু বোরহান সিদ্দিক (১৬), তানভীর (১৬) ও মুহিত (১৭)।
তারা নিজাম উদ্দিনকে ঝাপটে ধরে তার হাতে থাকা স্যামসাং জে-২ মডেলের মোবাইল সেটটি কেড়ে নেয়। তাকে উপর্যপুরি কিল-ঘুষি মেরে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে ১০ হাজার টাকা বিকাশ নাম্বারে পাঠিয়ে দিতে চাপ দেয়। তা না হলে তার স্বামীকে হত্যা করার হুমকি দেয়। তাকে ফুটপাতে জিম্মি করে রাখে ওই কিশোর দল।
একপর্যায়ে টহল পুলিশ এগিয়ে আসলে কিশোররা পালাতে শুরু করে। এ সময় অর্পণ বড়ুয়া ও রাকিবুল ইসলাম আলিফকে পুলিশ পাকড়াও করে। এভাবে ফাঁদ পেতে লোকজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়ার ঘটনাকে কিশোর অপরাধের নতুন ধরণ বলছেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা। এর আগে ফেইসবুকে বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে ডেকে নিয়ে টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে সমকামিতার ফাঁদ পেতে লোকজনকে জিম্মি করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা এটাই প্রথম।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, এ চক্রটি এর আগেও বেশ কয়েকজনকে ডেকে এনে এভাবে টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় যুবক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ চক্রে জড়িত কিশোররা নগরীর বিভিন্ন স্কুলের ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। টাকার লোভে তারা এ ধরনের গ্রুপ গড়ে তুলেছে বরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।