Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আড়াই লাখ টন নিত্যপণ্য সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) গত বছরের মার্চ মাস থেকে চলতি বছর মে পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ টন পণ্য দেশের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে। গতকাল বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ বকসী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, আলু এবং খেজুর।

জানতে চাইলে আবদুল লতিফ বকসী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে দেখা গেছে, বিগত এক বছরে বিশেষ করে রমজান মাসে ভোজ্যতেল ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যের বাজারদর মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। তিনি বলেন, ২ লাখ ৩৩ হাজার৭৯৪ মে.টন পণ্য দেশের ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৬ টি পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছেন ১৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, আলু এবং খেজুর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দেশীয় উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার, আমদানি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। করোনালকডাউন পরিস্থিতি এবং বিগত দুইটি রমজানে বাজারে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পাশাপাশি এ সকল পণ্যের বাজারে মোটামুটি স্থিতিশীলতা বিরাজ করেছে।

শুধুমাত্র, ভোজ্যতেলের বাজারদর এ সময় বেশ খানিকটা বেড়েছে। ২০১৪- ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। জুনের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেহেতু, ভোজ্যতেল একটি আমদানি নির্ভর পণ্য, সেহেতু ভোজ্যতেলের বাজার দর মূলত নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজার দরের উঠানামার উপর। ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৯৫ ভাগেরও বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তাই সা¤প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে যে পরিমানে দাম বেড়েছে, স্থানীয় বাজারে সেই পরিমানে বাড়েনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতর সংস্থা নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পণ্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নি¤œ আয়ের মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ