Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লৌহজংয়ে পদ্মায় বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-কৃষিজমি

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় অসময়ে পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় হঠাৎ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের কারণে অসময়ের এই ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে পদ্মা নদী ঘেঁষা উপজেলার আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা। ইতোমধ্যে বহু জমি বিলীন হয়েছে।
জানা যায়, পদ্মার ভাঙনে উপজেলার নদী পাড়ের ইউনিয়নগুলোর বেশিরভাগ ওয়ার্ড পদ্মার ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া ও সারা বছর ধরে প্রতিনিয়তই ভাঙছে পদ্মায়। কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রাম বিলীনের পর এবার ভাঙন শুরু হয়েছে উপজেলার পদ্মানদী ঘেঁষা বেজগাঁও গাঁওদিয়া শামুরবাড়ী কলমা ডহরি হাড়িদিয়া গ্রাম। শামুরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শাহিন ফকিরের বাড়িটি অর্ধেক অংশ এখন নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকি অর্ধেক বাড়ি পদ্মা গিলতে বসেছে এমনটি বললেন পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা। নদী পাড়ের পাঁচ শতাধিক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ভাঙন আতঙ্কে।
বর্তমানে গাঁওদিয়া থেকে লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নের বাঘের বাড়ি পর্যন্ত পদ্মা পাড়ে ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এই চার কিলোমিটার ভাঙনের কারণে বিলীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত বসতি বাড়ি, ফসলি জমি, খেলার মাঠ, মসজিদ, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা ও বাগান বাড়ি। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও বেগ ফেলার উদ্যোগ নিলেও তাতে কাজে আসছে না বলে জানান স্থানীয়রা। অনেক স্থানে জিও বেগ ফেলার পরেও নতুন করে সে সব এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। বেজগায়ে বিনোদন কেন্দ্র মৃধা বাড়ি এবং শামুরবাড়ি ইউনুছ খান-মাহমুদা খানম মেমোরিয়াল কমপ্লেক্সটি এখন পদ্মা ভাঙনের মুখে। এমনি দৃষ্টিনন্দন বেশ কয়েকটি বাড়ি এখন পদ্মার কড়াল গ্রাসের মুখে রয়েছে। ইতোমধ্যেই পদ্মা রিসোর্টটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রচণ্ড বাতাস আর ঢেউয়ের তোড়ে দিন দিন পদ্মার ভাঙন বেড়েই চলেছে। লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে গাওদিয়া ইউনিয়ন, বেজগাঁও ইউনিয়ন, কনকসার, লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন, দক্ষিণ হলদিয়া ও কুমারভোগ ইউনিয়নের তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত গ্রামগুলোতে এই ভাঙনের খেলা চলছে। তবে এ ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা না করা হলে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ভাঙনের ভয়াবহতা আরোও তীব্র আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
লৌহজং উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতি বছর পদ্মা কমবেশি ভাঙছে। তবে, আমরা ব্যবস্থাও নিচ্ছি। এই অপরিকল্পিত ভাঙন রোধ সময়ের ব্যাপার। এখানে বৃহত্তর পদ্মা সেতু হচ্ছে আর সেটি রক্ষা করতে আগে নদী শাসনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে সব এলাকায় ঢেউয়ের তোড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। খুব শিগগিরই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ