Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কমলনগরে পাঁচশ দরিদ্র পরিবার পাচ্ছেন সরকারি বাসগৃহ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ৮:৫৯ এএম

লক্ষীপুরের কমলনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী গ্রাম হবে শহর এমন প্রকল্পের মধ্যে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রামের পাঁচশ' হতদরিদ্র গৃহহীন পরিবার পেতে যাচ্ছে পাঁচশ' নির্মিত ঘর।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্প আশ্রয়ন-২ এর আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে গৃহহীনদের জন্য দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ইউনিয়ন ভিত্তিক অত্যন্ত সঠিকভাবে যাছাই বাছাই করে হতদরিদ্র ৫০০ শ পরিবারকে মনোনীত করে বাসগৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে ২০ টি নির্মিত ঘর হস্তান্তর করা হয়।বাকী ৪৮০ টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে দুর্বার গতিতে। চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে,ফজুমিয়ারহাট বাজারের পর্ব পাশে ভূলুয়া নদীর পাড়ে,চরবসু, বটতলী ও চরলরেন্স সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসবাসের উপযোগী সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে ভূমিহীনদের জন্য টেকসই এই ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসনের নিবিড় তদারকি ও গুনগত মান বজায় রেখে টেকসই ঘর নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘর নির্মাণের পাশাপাশি কমলনগর উপজেলায় অনেকগুলো স্বপ্নের বীজ বপনের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান ইউএনও কামরুজ্জামান।গত ৮ মে কমলনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান এক মতবিনিময় কালে জানান,
মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ কমলনগর উপজেলায় গৃহহীনদের জন্য অতিরিক্ত ঘরের বরাদ্দের ব্যবস্থা গ্রহন থেকে শুরু করে কমলনগরের ৪ টি আলাদা স্পটে নির্মাণাধীন ঘরগুলোর গুনগতমান নিশ্চিতকরণসহ পরবর্তী সময়ে উপকারভোগীদের জন্য যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণ ও পানীয়জলের ব্যবস্থা ,কবরস্থান এবং ক্ষেত্রবিশেষে পুকুরঘাট নির্মাণের জন্য সুস্পস্ট নির্দেশনার পরিকল্পনা রয়েছে কমলনগর উপজেলা প্রশাসনের।লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের তত্তবধানে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামানের প্রত্যক্ষ তদারকি ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সহযোগীতায় অত্যন্ত কঠোর মান নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে নির্মাণ করা হচ্ছে টিনশেড পাকা বাসগৃহগুলো।

চরঠিকা গ্রামের বাসগৃহ পাওয়া সুফলভোগী ফারুক, চরপাগলা গ্রামের আতরের জাহান ও আব্দুর রহিম,বলেন, থাকতাম পলিথিনের ছাপড়া ঘরে। দুর্যোগ সহনীয় ঘর পেয়ে যারপরনাই তারা খুশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের একটা আশ্রয়তো হলো। ইউএনও স্যার সব সময় এসে তাদের খোঁজখবর নেন।করোনাকালীন লকডাউনে স্যার এসে খাবার দিয়ে গেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন শাহেদ হাওলাদার ও মহিলা মেম্বার প্রতিনিধি আব্বাস মাঝি বলেন, চরম দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীদের মাঝে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের বিশাল মহতি উদ্যোগ। আশাকরি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। বর্তমান ইউএনও কঠোর পরিশ্রম করে এই ঘরগুলো নির্মাণ করছেন।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, গ্রামীন হতদরিদ্রদের দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় তৃণমূল জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্পটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ। জেলা প্রশাসনের তদারকি ও উপজেলা প্রশাসনের নিবিড় পর্যবেক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় ৫০০ টি বাসগৃহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পটি চলমান থাকলে তৃণমূল জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।আর এতে এ অঞ্চলের নদী ভাংগা দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে।এ উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শতভাগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ