পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ হাজার লোক নতুন করে কোটিপতি হচ্ছে বলে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
শনিবার রাতে অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বর্তমানে দেশের বৈষম্য ও অসমতার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার হিসাবে দেশে এখন প্রতিবছর পাঁচ হাজার লোক নতুন করে কোটিপতি হচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য কীভাবে বাড়ছে, আমাদের কতটা নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে, সামাজিক অবক্ষয় হয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশে বৈষম্য ও অসমতার উদাহরণ দিতে গিয়ে ফরাসউদ্দিন উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে এখন মোট ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্যে ৪৩ হাজার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হিসাবে আছে মোট আমানতের ৪৫ শতাংশ। অর্থাৎ মোট আমানতের অর্ধেকই আছে এই ৪৩ হাজার মানুষের কাছে। বাকি ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৭ হাজার ব্যাংক গ্রাহকের হাতে আছে বাকি অর্ধেক আমানত।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাতের সদ্য প্রকাশিত বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র: ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধানে গবেষণাগ্রন্থটির ওপর এক ওয়েবিনার আলোচনায় ফরাসউদ্দিন এই তথ্য দেন।
তিনি বলেন, ‘বৈষম্যর সবচেয়ে খারাপতর রূপ হলো সুযোগের বৈষম্য। বাংলাদেশে আড়াই কোটি মানুষ কর দেয়ার যোগ্য; কিন্তু কর দেন ২৫ লাখ মানুষ।
মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, ‘প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধাভোগী সম্পর্কে সরকারের কতটুকু নজর আছে, এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। ২৫ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা দিতে ব্যাংকের ম্যানেজাররা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তারা চেনাজানা লোকজনদেরই ঋণ দিতে ইচ্ছুক।’
‘এই সমস্যা সমাধানে বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, পিকেএসএফের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায়িত করতে হবে। প্রয়োজনে এসব উদ্যোক্তাকে ১ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে হবে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের আশ্রয় নিতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ বেড়ে গত জানুয়ারিতে ১২ লাখ ৮৬ হাজার ২০১ কোটি টাকায় উঠেছে। এত বিপুল আমানত আগে কখনও দেখা যায়নি।
২০২০ সালের জুনের শেষে আমানত ছিল ১১ লাখ ৮০ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আমানত বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা।
আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বেড়েছিল ৭৩ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। তারও আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে আমানত বৃদ্ধি পেয়েছিল ৪০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। এতে দেখা যায়, করোনার মধ্যেই আমানত বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।