পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও এবার ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে দেশে ২৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৪ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ২৯১ জন। নিহতের মধ্যে ৪৩ জন নারী ও ২৮ জন শিশু রয়েছে। একই সময়ে চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত এবং সাত জন আহত হয়েছেন। এছাড়া রেলপথে একটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠনটি সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করার কথা জানিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন নিহত হন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৩৪ জন, বাস যাত্রী চার জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি যাত্রী ১৭ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার যাত্রী ২৯ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ৩৩ জন, নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি যাত্রী ১৬ জন, প্যাডেল রিকশা, বাইসাইকেল আরোহী ৫ জন নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৯৪টি জাতীয় মহাসড়কে, ৮৯টি আঞ্চলিক সড়কে, ৩৪টি গ্রামীণ সড়কে, ১৮টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে চারটি সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাসমূহের ৪৪টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৯৫টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৭৬টি পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ১৯টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৫টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনার জন্য দায়ী- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, থ্রি-হুইলার ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ, নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-চান্দের গাড়ি ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান-বাইসাইকেল ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
দুর্ঘটনা রোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়াতে হবে; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।