পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার মজুত এ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হতে চলেছে। এরপর আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদানের সুযোগ নেই। ফলে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি হওয়া ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪ ডোজ পাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো উৎস থেকে টিকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এ পর্যন্ত ৯৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। আর প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৩৯ লাখ জন। এখন মজুত আছে মাত্র ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ ডোজ।
এ প্রসঙ্গে অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের হাতে সাড়ে চার লাখ ডোজের মতো টিকা আছে। এটা হয়তো এ সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে। আমরা ঘাটতি হওয়া অক্সফোর্ডের টিকা অন্যান্য দেশ থেকে পাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এখনো কোনো দেশ নিশ্চিত করে আমাদের কিছু জানায়নি। তিনি বলেন, আগামী ২ জুন কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের টিকা আসার কথা রয়েছে। সেখান থেকে অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা আসবে বলে জানানো হয়েছে। সেগুলো দিয়ে আমরা ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু করব। এই টিকা থেকে অর্ধেক দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ জন, আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৫১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ লাখ ১৯ হাজার ৮৯৮ জন, আর নারী ১৪ লাখ ১০ হাজার ৮৫৩ জন।
এ পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৩ ডোজ। উপহারের টিকাসহ দেশে অ্যাস্ট্রোজেনেকার মোট টিকা এসেছে ১ কোটি ২ লাখ। সেই হিসাবে এ মুহূর্তে টিকা মজুত থাকার কথা ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৭ ডোজ। তবে এর মধ্যে কিছু টিকা অপচয় হয়েছে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দ্বিতীয় ডোজ ৪ মাস পরে দিলেও সমস্যা নেই। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে জনগণ যাতে আতঙ্কিত না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে। এ পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। টিকার না থাকায় নতুন করে নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।