পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারির কারণে গতবারের মতো এবারও সংসদের বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে। আগামী ২ জুন বিকাল ৫টায় শুরু হতে যাওয়া এ অধিবেশন মাত্র ১০ থেকে ১২ দিন চলতে পারে। বাজেট অধিবেশন সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ মে বাজেট অধিবেশন আহ্বান করেন প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ। সংসদ সচিবালয় সূত্র মতে, ২ জুনের বৈঠকটি খুবই অল্প সময়ের জন্য হবে। ওই দিন শোক প্রস্তাব গ্রহণের মধ্যে দিয়ে বৈঠক শেষ হবে। এরপর ৩ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে বাজেটের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন চালাতে এবারও সম্পূরক বাজেট এবং আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা সংক্ষিপ্ত হতে পারে।
প্রথম দিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর মরহুম সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু এবং আসলামুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের আলোচনা হবে। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি হবে। পরদিন বিকাল ৩টায় সংসদের বৈঠক বসবে। সেদিনই বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এরপর দু’দিন বিরতির পর অধিবেশন আবারও বসতে পারে। তবে বাকি সময় অধিবেশন সকালে নাকি বিকালে বসবে, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেট ৩০ জুনের মধ্যে পাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ৩০ জুনের আগে পাস করার রেকর্ড সাধারণত নেই। শুরু হতে যাওয়া অধিবেশনের মাঝে বিরতি দিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত চলানো হবে।
বাজেট উপস্থাপনের আগে একই দিনে জাতীয় সংসদ ভবনে বসবে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। প্রতিবছরই বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থ বিল যায় প্রেসিডেন্টের কাছে। সাধারণত বাজেট পেশের আগে প্রেসিডেন্ট সংসদেই অবস্থান করেন। আর্থিক বিষয়ক বিল সংসদে তোলার আগে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর নিতে হয়।
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট আওয়ামী সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের ত্রয়োদশতম বাজেট। গত অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশন ছিল ইতিহাসের সক্ষিপ্ত অধিবেশন। মাত্র ৯ কার্যদিবস চলছিল ওই অধিবেশন। এবারও অধিবেশন ১০ থেকে ১২ দিন চলানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হচ্ছে।
মহামারিকালের অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও অধিবেশনে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি থাকবে সীমিত। গণমাধ্যমকর্মীদেরও প্রবেশাধিকার থাকবে না। শুধু বাজেট পেশের দিন বাজেটের কাগজপত্র নিতে সংসদ এলাকায় ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা। গত বছর সংসদের মিডিয়া সেন্টার থেকে বাজেটের দলিল বিতরণ করা হয়েছিল। সেখানে বর্তমানে করোনার টিকাকেন্দ্র থাকায় এবার সংসদ ভবনের সামনের টানেলের ভেতর থেকে কাগজপত্র বিতরণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।