পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের ১৬ লাখ টিকার ঘাটতি পড়েছে। চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার চেষ্টার পাশাপাশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা সেরামের কাছ থেকে আনার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। তবে ভারতের নীতিবাচক মনোভাবের কারণে এখনো এই টিকার কোনো সুরাহা হয়নি।
ভারতে করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশ থেকে টিকা আসা এখন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভারত এখন টিকা রফতানি বন্ধও রেখেছে। তারা অক্টোবরের আগে টিকা রফতানি করতে পারবে না বলেও আভাস দিয়েছে। তবু ভারতের টিকা পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ভারতের টিকা পেতে গত ১৮ মে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এ সময় তিনি অন্তত দ্বিতীয় ডোজ টিকা যেন বাংলাদেশকে দেয়া হয় সেই অনুরোধ করেন। এছাড়া ভারত থেকে যদি টিকা রফতানি বন্ধ থাকে, তাহলে উপহারের মাধ্যেমও ভারত এই টিকা বাংলাদেশকে দিতে পারে কি না, সেটা বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানান।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকেও চেষ্টা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আলাদা বৈঠক করেছেন। এছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেইনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য উভয় দেশের কাছে জরুরিভাবে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কাছে বিপুল পরিমাণ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা মজুদ রয়েছে। এই টিকা তারা করোনায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী দেশগুলোকে দিতে চায়। তবে বাংলাদেশ সেভাবে ভুক্তভোগী দেশ না হলেও এই দুই দেশ থেকে টিকা আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দেশ ভারত, ব্রাজিল, স্পেন প্রভৃতি দেশকেই যুক্তরাষ্ট্র টিকা দিতে আগ্রহী বেশি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা আনতে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও কাজে লাগিয়েছে সরকার। তারাও চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে জরুরি টিকা পাওয়ার।
দ্বিতীয় ডোজের টিকা আনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা আনার জোর চেষ্টা করছি। ভারতের কাছেও টিকা চেয়েছি। দ্বিতীয় ডোজের টিকা যে আমাদের জন্য খুবই জরুরি, সেটা আমরা তাদের বোঝানোরও চেষ্টা করছি।
এদিকে ঢাকায় কর্মরত চীনের রাষ্ট্রদূত তাদের টিকার চাহিদা বেশি জানালেও চীন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে টিকা আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ টিাকা আনার চেস্টা করছে। শুধু তাই নয় দেশটি থেকে জুলাই আগস্টের মধ্যে কিছু কিছু করে টিকা আনা হবে। রাশিয়া থেকেও টিকা আনার চেষ্টা চলছে। তবে চীনা ভাষাগত জটিলতার জন্য টিকা আসতে দেরি হচ্ছে। চীন যেসব ডকুমেন্টস দিয়েছে, সেগুলো চীনা ও ইংরেজি ভাষায়। তবে ইংরেজি ভাষায় সই করার জায়গায় চীনা ভাষায় সই করে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে আবার সেটা সংশোধন করা হয়েছে। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়া থেকে টিকা আনার সংখ্যা বারবার বদল করায় টিকা আনার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের টিকার চাহিদা প্রচুর। চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা এলেও দ্বিতীয় ডোজের টিকার সঙ্কট মিটবে না। কেননা দ্বিতীয় ডোজের জন্য ১৬ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রয়োজন। চীন ও রাশিয়া থেকে এই টিকা আসবে না। ইতোমধ্যেই চীন থেকে যে ৫ লাখ সিনোফার্মের টিকা এসেছে; তা দ্বিতীয় ডোজ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে না। এই টিকা আলাদাভাবে দিতে হবে। এছাড়া আগামী ২ জুন গ্যাভি-কোভ্যাক্স উদ্যোগে এক লাখ ৬ হাজার ফাইজারের টিকা আসবে। তবে এই টিকাও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা একই কোম্পানির দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।