পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের ছুটি শেষে জীবিকার তাগিদে ঢাকামুখী কর্মজীবী হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কিছুতেই কমছে না। গতকাল সকালেও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। গতকাল সকালে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ নেই বললেই চলে। ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর বাসিন্দা সাবিহা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে আবারও ফিরছেন কর্মস্থলে। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট পর্যন্ত আসতে তার খরচ হয়েছে ৭০০ টাকা। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সড়কে নেই দূরপাল্লার বাস। অটোরিকশা বা সিএনজিতে দু-তিনগুণ বেশি ভাড়া, এরপরও আছে সঙ্কট। তাই অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব ছিল না তার। উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ছোট মেয়েকে নিয়ে ঢাকার নয়াবাজার পর্যন্ত জন প্রতি ১০০ টাকা ভাড়ায় গাদাগাদি করে ওঠেন একটি পিকআপভ্যানে। সাধ্যের মধ্যে যে করেই হোক পৌছাতে হবে কর্মস্থলে। শুধু সাবিহাই নন, গণপরিবহন সঙ্কট আর অধিক ভাড়ার কবলে পড়ে বাধ্য হয়ে শত শত মানুষ পণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকা যাচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ। ভাড়ার বিষয়ে সাবিহা বলেন, ‘বড়লোকগো গাড়ি আছে, তারা গাড়ি করে বাড়ি আসে, যায়। আমরা যারা দিন আনি, দিন খাই তাদের তো এতো বেশি টাকা খরচ করার উপায় নাই। পিকআপে উঠছি, এই গাড়িই ভরসা। বাস থাকলে আমাদের সমস্যা হতো না, সিএনজি অটোরিকশায় যাইতে যে টাকা লাগে আমাগো এতো বেশি খরচ করার সাধ্য নাই। আমাগো এতো ভোগান্তি দেয়ার কী দরকার।
করিম খান নামের আরেকজন বলেন, আমি ঢাকার একটি হোটেলে কাজ করি। ঈদ শেষে তেমন টাকাও নেই আমাদের। গরীবের জন্যই যত দুর্ভোগ। এই যে সবাই একসঙ্গে পেটের জ্বালায় যাইতাছি, এখন কী করোনা হয় না আমাদের?
সাগর হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘লকডাউন তো কেউ মানতাছে না। সবকিছুই তো খোলা, বাস খুলে দিলে গরীব মানুষের হয়রানি কমতো। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ফেরিতে যাত্রী চাপ বেড়েছে।
সালেহা বেগম বলেন, ‘ঈদে বাড়িত গেলাম কষ্ট করে, এখন ঢাকায় যামু তাও কষ্ট। টাকা থাকলে তো গাড়ি ভাড়া করেই যাইতাম। আমাগো টাকা নাই, তাই আমাগো কথা কেউ শুনে না’।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ম্যানেজার ভজন সাহা জানান, সকাল থেকে এই নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে ফেরির অপেক্ষায় কোনও যান বা যাত্রী নেই। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীরা ফেরিযোগে ফিরছেন। এতে যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনসহ ঘাট কর্তৃপক্ষকে। যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ছিল সম্পূর্ণ উদাসীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।