বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দাদার বাড়ীতে বেড়াতে এসে অবৈধ ড্রেজিংয়ের খাদের পানিতে পরে আবির নামে ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রাম সংলগ্ন ইছামতী নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। সে ঢাকাস্থ কেরানীগঞ্জের গেন্ডারিয়া ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিপন শেখের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত রবিবার ঢাকা থেকে দাদার বাড়ী উপজেলার তেলিয়াপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে আবির ও তার পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর অনুমান সাড়ে ১২ টার দিকে আবির ও তার আপন ভাইসহ ৪-৫ জন তেলিপাড়া গ্রাম সংলগ্ন ইছামতী নদীতে গোসল করার জন্য যায়। আবির শহরে বসবাস করায় কোন কিছু না বুঝেই সে নদী সংলগ্ন চলমান ড্রেজারের খাদের পানিতে নেমে পরে এবং এক পর্যায়ে গভীর পানিতে ডুবে যায়৷ আবিরের বড় ভাই তার ছোট ভাইকে খাদের পানিতে ডুবে যেতে দেখে পরিবারের লোকজনদের খবর দেয় এবং পরিবারের লোক এসে ড্রেজারটি বন্ধ করতে বলে কিন্তু ড্রেজারটি বন্ধ না করায় তাৎক্ষণিক আবিরকে পানি থেকে উপরে তোলা সম্ভব হয়নি। এরপর এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে ড্রেজারটি বন্ধ করে আবিরকে পানি থেকে উদ্ধার করে টংগীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবিরকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় নিহতের লাশ স্থানীয় মালপদিয়া কবরস্থানে তাড়াহুড়ো করে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এমনটাই জানান সজন ও স্থানীয়রা। শিশুর দাফন সম্পন্ন করার পর খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানার এস,আই মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, অবৈধ ওই ড্রেজারটির মালিক মালখানগর ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু মিয়ার ছেলে মোঃ মকবুল (৪৬)। সে দীর্ঘদিন ধরে তেলিয়াপাড়া গ্রাম সংলগ্ন ইছামতী নদীর পাড়ে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ড্রেজিং করে মাটি বিক্রি করে আসছিলেন।
নিহত আবিরের চাচী রোজিনা বেগম বলেন, আমার ভাতিজা পরে যাওয়ার পর ড্রেজার থামাতে বললেও তারা ড্রেজার থামায় নি। ড্রেজারের কারণে আমার ভাতিজা মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।
আবির মা নুপুর বেগম বলেন, ড্রেজারের কারণে আমার ছেলে মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।
মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ করিম শেখ মুঠোফোনে বলেন, শাহাবুদ্দিন মেম্বার বিষয়টি আমাকে জানায়। পানিতে পরে একটি শিশু মারা গেছে।
এ ব্যপারে ড্রেজার মালিক মোঃ মকবুল বলেন, আমি প্রথমে বাচ্চাটিকে পানিতে পরতে দেখি নাই। পরে দেখে সাথে সাথে ড্রেজার বন্ধ করি। এর পর বাচ্চাটি মরা অবস্থায় পানি থেকে উঠানো হয়।
সিরাজদিখান থানার এস, আই মামুন জানান, সাতার না জানায় ড্রেজারের খাদে পরার পর স্রোতের কারণে ডুবে গিয়ে ছেলেটি নদীর মাঝে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মৃত অবস্থায় ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যপারে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। ছেলের বাবা তার ছেলে পানিতে পরে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মর্মে থানায় না দাবী দিয়ে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।