পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগের আগ্রহ করা প্রকাশ করেছে জার্মানি। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলৎজ রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান। রেলভবনে মন্ত্রীর দফতরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে জার্মান রাষ্ট্রদূত যশোরের নাভারন থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতেও আগ্রহ দেখায় জার্মানি। সাক্ষাৎকালে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন রেলওয়ের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার রেল খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে দিয়েছেন। দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রেলওয়েতে অনেকগুলো প্রকল্প বর্তমানে চলমান আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মাণসহ অনেক প্রকল্প চলমান আছে। জার্মান রাষ্ট্রদূতকে রেলপথমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের বেশিরভাগ সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মিটারগেজগুলোকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর করা হচ্ছে। সারা দেশের জেলাগুলোকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলপথমন্ত্রী জার্মান রাষ্ট্রদূতকে জার্মানির উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগের আহবান জানান। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের জার্মানিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত বিনিয়োগসহ প্রশিক্ষণের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
মন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে সাতক্ষীরা-২ এর সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।