Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হিলি দিয়ে ফিরছে ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে নারী-পুরুষ শিশুসহ ৩৭ জন দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে অসুস্থ হওয়ায় চার জন করে মোট আট জনকে রংপুর ও দিনাজপুরে পাঠানো হয়েছে।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের এনওসি এবং করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে বেলা দেড়টার দিকে তারা দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এসময় সীমান্তের শূন্যরেখায় পুলিশ, বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন তাদের নির্ধারিত তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাদের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্বাস্থ্য চেকআপ ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দেশে ফেরা যাত্রীরা জানান, চিকিৎসার জন্য বিমানযোগে বা সড়কপথে বিভিন্ন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা ভারতের চেন্নাই ও বেঙ্গালুরে চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় তারা দেশে প্রবেশ করতে পারেননি। এদের মধ্যে অনেকেই দু›মাস ধরে ভারতে আটকা ছিলেন। সম্প্রতি ভারতের কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশনে থেকে দেশে ফেরার জন্য এনওসি পাওয়ার পর সেখানে দুন্দফা করোনা টেস্ট করে তারপরে আমরা ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আসেন তারা। কিন্তু সেখানে অনুমতি না দেওয়ার কারণে গত তিন দিন ধরে তারা দেশে প্রবেশ করতে পারিনি। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ায় হিলি দিয়ে দেশে ফিরে আসেন। তাদের মতো তিনশ› জনের এই পথ দিয়ে এনওসি ইস্যু করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ওসি সেকেন্দার আলী জানান, করোনার কারণে গতবছরের মার্চ থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দু›দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ভারতে আটকেপড়া যাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে গত ১৬ মে থেকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম চালু হয়। তবে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন না পাওয়ায় গত তিন দিন ধরে চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী আগমন-বহির্গমন শুরু হয়নি। পর্যায়ক্রমে ভারত অভ্যন্তরে যত বাংলাদেশি আটকা আছে অনুমোদন স্বাপেক্ষে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিন্ধান্ত অনুযায়ী দুপুরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা এনওসি ও করোনার সনদ নিয়ে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরে আসেন। তাদের পাসপোর্ট জমা নেওয়াসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনার অ্যান্টিজেন টেস্টসহ সব দফতরের কার্যক্রম সম্পন্ন করে যারা নন-কোভিড তাদেরকে নির্ধারিত স্থানীয় তিনটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। আর যারা অসুস্থ তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে আট জনকে অসুস্থ হওয়ায় রংপুর ও দিনাজপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও যদি কোভিড পজেটিভ হয় তাদেরকে নির্ধারিত আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ