পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার (২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ) ঘোষিত ফল বাতিল করে পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়ন করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিট আবেদনে আগামী ২২ মে থেকে মেডিকেল কলেজগুলোতে শুরু হতে যাওয়া ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ফেরদাওউস জাহান মারিয়াসহ ৩২৪ পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন দাখিল করেছেন। একই দাবিতে গত ১১ মে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। আইনজীবী জানান, নোটিশ পাঠানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের গত ৭ ফেব্রæয়ারি প্রচারিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকাবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে। আবার কোনো পরীক্ষার্থী যদি গতবছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল থেকে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি পালন করা হয়নি। যেসব পরীক্ষার্থীর ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীর ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার প্রথমবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীর যেখানে কোন নম্বর কাটবার কথা নয়, সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীর থেকেই ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ফলাফলে এরকম অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দুটি করে। এছাড়া অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর ছিলনা। সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা জেলা কোটা আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে। এসব ত্রæটি ও অসংগতি রেখে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার মুখে পড়েছেন। এসব কারণে প্রকাশিত ফল বাতিল এবং সকল ত্রæটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং ত্রæটিপূর্ণ মেধাতালিকায় ভিত্তিতেই মেডিকেল কলেজগুলোতে ২২ মে হতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এই ত্রæটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অর্থই হলো প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা। যা দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়ার সামিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।