পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ‘নির্যাতন করা হয়নি’ বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, প্রথম আলোর ওই সাংবাদিক টিকা আমদানি সংক্রান্ত এমন কিছু নথি ‘সরিয়েছিলেন’ যেগুলো প্রকাশ হলে ‘দেশের ক্ষতি’ হতে পারতো।
গতকাল আগারগাঁওয়ে একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওইসব কথা বলেন। সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে মামলার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ ও সমালোচনার মধ্যে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন বক্তব্য করলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাশিয়ার সাথে টিকার চুক্তি করছি। চীনের সাথেও টিকার চুক্তি করছি। সেগুলো নন ডিসক্লোজার আইটেম। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি, আমরা এটা গোপন রাখব। এগুলো প্রকাশ হলে বিরাট ক্ষতি। রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) তা বর্জন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে যেটুকু তিনি শুনেছেন, তাতে স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের অনুপস্থিতিতে গত সোমবার দুপুরে তার কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন রোজিনা। তিনি বলেন, ওখানে যে ডিউটিতে ছিল, সে দেখলো যে একজন ব্যক্তি ওখানে ফাইলের ছবি তুলতেছে। ফাইল থেকে কিছু বের করে ব্যাগে ঢুকাইছে, শরীরেও ঢুকাইছে। তখন সে চিল্লাচিল্লি করছে। আমাদের মহিলা অফিসাররা এসেছে। এসেই তারা ধরছে যে ‘আপনি কেন এইসব করছেন?’ তখন তার কাছ থেকে ওই কাগজ আর ফাইলগুলো নিছে। এর মধ্যে পুলিশে খবর দিছে, পুলিশ কর্মকর্তারা আসছে, তারা এটা টেকওভার করছে। প্লাস মোবাইলটাও নিছে, মোবাইলেও অনেক ছবি পাইছে।
এর আগে গত সোমবার দুপুরের পর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপসচিব তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল।
এসব প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই জিনিসটাও দুঃখজনক। কেননা এই ফাইলগুলো ছিল টিকা সংক্রান্ত। আমরা যে রাশিয়ার সাথে টিকার চুক্তি করছি, চীনের সাথে টিকার চুক্তি করছি। সেগুলো নন ডিসক্লোজার আইটেম। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি, আমরা এটা গোপন রাখব, এগুলো বলব না। তো সেগুলো যদি বাইরে চলে যায়, তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলাম, এবং আমরা টিকা নাও পেতে পারি। এতে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বিরাট ক্ষতি হতে পারে। এগুলো সিক্রেট ডকুমেন্ট, বাইরে যাওয়া ঠিক হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।