বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন সকল প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য দেশের বড় সম্পদ। এ সম্পদের কথা বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপে সে মাছ আজ বাংলাদেশে সহজলভ্য হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। ইতোপূর্বে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠন সম্মিলিতভাবে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে। রাষ্ট্রের একটি অংশ হিসেবে সকলে মিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলেও তারা পিছপা হননি। এটি আমাদের এগিয়ে যাবার মূলমন্ত্র। এভাবে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ছিল।
মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইনের অপপ্রয়োগের কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তারপরও এই আইনের অপপ্রয়োগ দেখলে সেটি বন্ধ করা হবে। তাই এই আইন নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই। দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। তবে অকারণে কোন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষা করতে হবে। মৎস্যজীবী স¤প্রদায়সহ জনগণকে মৎস্যসম্পদ রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. আতিকুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর, চট্টগ্রাম-এর পরিচালক এবং বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।