Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইগাতীতে পানির জন্য হাহাকার

এস কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাওয়ায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় এখন চলছে পানির জন্য হাহাকার। এতে সীমান্তবর্তী উপজেলার গ্রামাঞ্চলে কমপক্ষে ৭/৮ হাজার নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সঙ্কট।

এমনিতেই পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ ময়লাযুক্ত খাল-বিল, নদী-নালা ও কূপের পানি পান ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করে। তাও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তা শুকিয়ে গেছে। তারপর আবার নলকূপেও পানি না ওঠায় তারা পড়েছে মারাত্বক বিপাকে এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কটে।

স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, গত বছরই গারো পাহাড়ি অঞ্চলে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর ৪০/৫০ ফুট নিচে ছিল। মনে হচ্ছে এ বছর আরো বেশি নিচে নেমে গেছে। এ অবস্থা হলে শত শত গভীর ও অগভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হ্েচ্ছ। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানির হাহাকার আরো ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে বলে পর্যবেক্ষকমহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলাটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত। ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলায় ২ লাখ অবহেলিত লোকের বসবাস। এরমধ্যে বেশিরভাগ মানুষই কৃষিজীবী। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টি নেই অনেক দিন ধরে। এজন্য এ অবস্থা হয়েছে। এদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভূগর্ভস্ত পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে গারো পাহাড়ের মো. আব্দূর রহমান মাস্টার, আহাম্মদ আলীসহ অনেকেই মনে করছেন।

এ ব্যাপারে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন। কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা গেলে পানি সঙ্কট হবে। তবে, প্রকট আকার ধারণ করবে না বলে সচেতন মহলের ধারণা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ