Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুলিশ বলে রেহাই ডেটলাইন পার্বতীপুর

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

অসামাজিক ঘটনায় আটক হলো ৫৪ ধারায়, পুলিশ মামলা নিল ২৯ ধারায়। এতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর কুমারপাড়া গ্রামের হরিপদ রায়ের ছেলে মিঠুন চন্দ্র রায় (২৪) এ অপরাধ থেকে রেহাই পেলেন। সহকর্মীদের কৃপায় রেহাই পেলেন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেও। কিন্তুু এতে ঘটনার শিকার ওই নারীর মানসম্মান ও সামাজিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হলেও পুলিশ সেটি বিবেচনায় নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এভাবে হাজার প্রশ্নের জন্ম এ ঘটনায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মীর শহিদুল ইসলাম ও গ্রামবাসীর সাথে গতকাল সোমবার দুপুরে কথা বলে জানা যায়, ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্য মিঠুন চন্দ্র রায়ের সঙ্গে প্রায় ৬ বছর আগে একই গ্রামের তার মৃত মামা পশুরাম রায়ের স্ত্রীর (২৮) প্রেম ও অসামাজিক সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনাটিকে গ্রামের লোকজন ভাল চোখে দেখছিল না। সে সম্প্রতি কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে গ্রামে এসে মামির সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ গড়ে তোলে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী গত রবিবার বিকেল ৪টায় ৯৯৯-এ ফোন দিলে পার্বতীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৫৪ ধারায় আটক করে।

এ ঘটনায় ওই নারীর ভাশুর তপন রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ২৯ ধারায় মামলা করে। ওই দিনই পুলিশ তাদের দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠায়। এ ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত হলেই আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে এলাকাবাসী জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ