Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদের পরের দিনেও বিনোদন কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২১, ৫:২৪ পিএম

মহামারির করোনাভাইরাসের কারণে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো গত বছরের মতো এবারও বন্ধ রয়েছে। তার মধ্যেই ঈদের দিন শুক্রবার (১৪ মে) স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ভিড় জমেছিল হাতিরঝিল। আজ ঈদের পরের দিনেও ভিড় বেড়েঝে সেখানে। দেশ জুড়ে চলছে বাইরে চলাচলের ওপর কড়াকড়ি বিধিনিষেধ বা লকডাউন। কিন্তু ঈদ বলে কথা।

আজ শনিবার বেলা গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতিরঝিলে বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। অনেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের অনন্দ উপভোগ করতে এসেছেন হাতিরঝিলে। প্রচন্ড গরমেও হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছে হাতিরঝিলে।
হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়ে, আবার কেউ ঝিলের ধারে গাছের ছায়ায় বসে শীতল বাতাসে উপভোগ করছেন ঈদের আনন্দ। গল্প, আড্ডা আর ঝিলের ধারে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে অনেককে।

প্রখর রোদের আলো পড়ে ঝলমল করছিল ঝিলের পানি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এলেমেলো বাতাস। এই উদোম বাতাসে দোল খাচ্ছে ঝিলের পানি। এই দৃশ্য হাতিরঝিলকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে দর্শনার্থীদের কাছে। তবে ওয়াটার ট্যাক্সিতে শুধু বিনোদন নয়, নিজ নিজ গন্তব্যেও যাচ্ছেন রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষ।

ঈদ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো এবার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়নি। করোনা মহামারির বিস্তার রোধে কর্তৃপক্ষ অনেক আগ থেকেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আর পরিবার-পরিজনের সঙ্গে বাসায় ঈদের আনন্দ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তাই, রাজধানীর বেশিরভাগ নিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় মানুষের চাপ পড়েছে হাতিরঝিলে।
প্রতিবছর ঈদের দিন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কোথাও নামে মানুষের ঢল। কিন্তু গত বছর এবং চলতি বছর করোনা মহামারির কারণে সে চিত্র নেই রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।

চিড়িয়াখানা, জাতীয় জাদুঘর এবং অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। রাজধানীবাসী মনে করছিলেন করোনার কারণে ঈদ উৎসবের আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়বে। কিন্তু রাজধানীর হাতিরঝিলে আসলে যেকোনো মানুষ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের পরদিন বিকেল ৪টার পর থেকেই স্রোতের মতো মানুষ আসতে থাকেন। সূর্যের প্রখর তাপ লক্ষ্য করার মতো। কিন্তু, বিনোদনপ্রেমী মানুষ ছুটে আসছেন হাতিরঝিলে।
হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানান গেছে, রাজধানীর অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্র সেভাবে খোলা না থাকায় গরম ও মানুষের ভিড় উপেক্ষা করে তারা এখানে এসেছেন একটু স্বস্তির জন্য।

হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা বনশ্রীর বাসিন্দা আবদুস সালাম বলেন, হাতে সময় কম থাকায় স্ত্রী-সন্তানদের হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়ে আনন্দ উপভোগ সম্ভব হয়নি কখনো। তাই আজ বিকেলে ঘুরতে বের হয়েছি।

তিনি বলেন, এখানে আসার সময় হয় না। অনেকদিন ধরে ছেলে-মেয়েরা বায়না ধরেছে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরবে। ঈদের দিন বিকেলে বাসা থেকে বের হতে পারিনি। আজ ওরা কোনোমতেই ছাড়ছে না বলে দুই সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সির রামপুরা কাউন্টারে আসলাম। দেখি একটু আনন্দ পাওয়া যায় কিনা।
ওয়াটার ট্যাক্সির ম্যানেজার বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবকটি ট্যাক্সি চলাচল করে। ঈদের দিন ব্যাপক মানুষের সমাগম হয়েছে। ঈদ মৌসুমে আগামী কয়েক দিন বিনোদনপ্রেমীদের জন্য ঝিল উৎসবমুখর থাকবে।
বর্তমানে কতটি ওয়াটার ট্যাক্সি চলছে তা জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, এক একটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৪৫ জন। টার্মিনাল আছে ৫টি-এফডিসি, পুলিশ প্লাজা, গুলশান মেরুল-বাড্ডা এবং রামপুরা। এ ছাড়াও চক্রাকার বাস রয়েছে।
হাতিরঝিলে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মানুষকে জোর করে কিছু বোঝানো যায় না। করোনায় এত মারা যাচ্ছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে তবুও করোনার ভয় মানুষের মধ্যে কাজ করছে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ