বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আত্মহত্যা নয়, চৌগাছায় আহাদ আলীকে হত্যা করে স্ত্রী জেসমিন আর তার একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন(১৯)।
পুলিশের সন্দেহের ভিত্তিতে ছেলে সোহান ও স্ত্রী জেসমিনকে আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ এসব তথ্য পেয়েছে। এর আগে,( ১৩ মে) বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দূর্গাবরকাটি গ্রামের নিজ ঘর থেকে আহাদ আলী (৪৪) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহাদ আলী একসময় ট্রাক চালাতেন। পরে তিনি কৃষি কাজে যোগ দেন।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) তৌহিদুল ইসলাম জানান, পরিবার থেকে জানানো হয়েছিল আহাদ আলী বুধবার রাতে ছেলে মেয়েরা যে ঘরে থাকে, তার পাশের ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিল। পরদিন সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় তারা দরজা ভেঙে ঢুকে দেখে, আহাদ আলীর বুকে ছুরি মারা এবং সারা শরীর রক্তাক্ত। বাবার লাশ দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এসে পুলিকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের সন্দেহ হয় এ হত্যাকাণ্ডে পরিবারের লোকজন জড়িত। এ সন্দেহ থেকেই পুলিশ আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার , একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছেলে সোহান স্বীকার করে, সেই তার বাবাকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় সে জানায়, বাঁশের মাথায় ছুরি বেঁধে ইট দিয়ে তৈরি করা জানালার ফাঁক দিয়ে রাতে সে তার বাবাকে খোঁচা দিয়ে আহত করে। এ অবস্থায় ব্যাপক রক্তক্ষরণে আহাদ আলী মৃত্যুবরণ করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহান এ কথা স্বীকার করার পর সোহানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বাড়িটি থেকে তার দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা ছুরি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বাঁশের লগা উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় নিহতের ভাই বড় ভাই আবেদ আলী একটি হত্যা মামলা করেন। পারিবারিক কলেহের জের ধরেই এ খুনের ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।