বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চিকিৎসা ও ভ্রমণসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আটকা পড়েছেন হাজারও বাংলাদেশি। আটকেপড়াদের দেশে ফেরাতে আরও তিন স্থলবন্দর খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে তার জন্য ঈদের ছুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, আগামী ১৬ মে (রোববার) থেকে আবার বাংলাদেশের মিশনগুলো এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা অনাপত্তিপত্র) দিতে শুরু করবে। তবে বেনাপোল ও আগরতলা সীমান্তে চাপ খুব বেড়ে যাওয়ায় বুধবার নতুন তিনটি ল্যান্ড রুট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেগুলো হলো গেদে-দর্শনা, দিনাজপুরের হিলি আর মালদার কাছে সোনামসজিদ।
তিনি বলেন, বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর যাত্রীদের চাপে যশোরের কোয়ারেন্টিন ফেসিলিটিগুলো এখন সব ভর্তি। তাই আমরা চাচ্ছি এই নতুন তিনটি ল্যান্ড রুটই এখন বেশি ব্যবহার করা হোক। ফলে যারা দেশে ফিরতে চাইছেন তাদের আমরা রানাঘাটের কাছে গেদে-দর্শনা, হিলি কিংবা সোনামসজিদ রুট ব্যবহার করার জন্যই পরামর্শ দেবো।
এপ্রিল মাসে ভারতে মহামারির প্রকোপ বাড়ার পর ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও পরে সে সময়সীমা দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। তখন বলা হয়, আপদকালীন পরিস্থিতিতে যারা দেশে ফিরতে চাইবেন, তাদের নিকটবর্তী মিশনে আবেদন করে ‘এনওসি’ বা অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। তখন সীমিত আকারে দেশে প্রবেশের জন্য পেট্রাপোল-বেনাপোল, বুড়িমারি-চ্যাংড়াবান্ধা ও আগরতলা-আখাউড়া এই তিনটি স্থলবন্দর চিহ্নিত করা হয়।
উল্লেখ্য, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে যশোরের যে হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেগুলো সব ভর্তি হয়ে যাওয়ায় কলকাতার বাংলাদেশ মিশন সাময়িকভাবে এনওসি দেয়া বন্ধ করে দেয়। তাই বিকল্প হিসেবে নতুন করে এই তিনটি স্থলবন্দর খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সূত্র: বিবিসি বাংলা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।