পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার বাড়লেও নিষ্পত্তি কমেছে। এ সময়ে আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে এলসি খোলা বেড়েছে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে এলসি খোলা বাড়লেও নিষ্পত্তি কমেছে ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়ে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের এলসি খোলা বেড়েছে। তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ৩০৯ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩০১ কোটি ১৬ লাখ ডলার। অন্যদিকে এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ২৮০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার অনেক বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১০ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ৩৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তিও বেড়েছে। এ মাসে এ পণ্যগুলোর এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম তথা জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছিল ১৬ কোটি ৮১ লাখ ডলারের। এ সময়ে পেট্রোলিয়ম পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১১ কোটি ৪২ লাখ ডলার যা আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্যটির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৭ কোটি ১৮ ডলার। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ২৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার যা আগে অর্থবছরের প্রথম মাসে ছিল ৩২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সে হিসাবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর এ সময়ে ২৪ কোটি ১৭ লাখ ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নিষ্পত্তি হয়েছে যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। এ হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতির নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ দশমিক ৯২ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই মাসে শিল্পের কাঁচামালের আমদানি ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি কমেছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।