পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিহারের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও একই কাণ্ড। যতদূর চোখ যায় গঙ্গায় ভাসছে অগণিত পচাগলা লাশ। পাড়ে আধপোড়া লাশের স্তূপ। সোমবারের পর মঙ্গলবারও একই ঘটনা। তবে এবার বিহারের বক্সার নয়, উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরে। সকাল হতেই নদীর পাড়ে বেওয়ারিশ লাশের সারি। করোনা পরিস্থিতি এভাবে নদীর পানিতে লাশ ভেসে আসায় স্বাভাবিকভাবেই গাজীপুরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গ্রামবাসীসহ স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা লাশগুলো করোনায় মৃত রোগীর। সৎকারের জায়গায় না পেয়ে লাশগুলো ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে পানিতে। এতে লাশ থেকে বিস্তীর্ণ জায়গায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বক্সারের সংলগ্নই উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর। এখান থেকেই গঙ্গা বিহারে প্রবেশ করে। গত সোমবার বক্সারের নদীর পাড়ে শতাধিক লাশ ভেসে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। স্রোতের দিক বিচার করে বক্সার প্রশাসনের অনুমান ছিল লাশগুলো উত্তরপ্রদেশ থেকেই এসেছে। এদিন গাজীপুরেও একইভাবে লাশ ভেসে ওঠার ঘটনায় সেই ধারণাতেই সিলমোহর পড়ল। করোনায় মৃত্যু হলে কোভিড বিধি মেনে প্রশাসনের নজরদারিতে লাশের সৎকার করা হয়। কিন্ত এভাবে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয়দের দাবি, এই প্রথম নয়, বেশ কয়েকদিন ধরেই নদীতে লাশ ভেসে আসার ঘটনা ঘটছে। এত বিপুল সংখ্যায় লাশ নদীর পাড়ে জমে থাকায় প্রশাসনের নজর পড়েছে। এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে যমুনায় ও বিহারের কাটিহার ও বক্সায় গঙ্গায় লাশ ভেসে আসার ছবি নজরে এসেছে। পচাগলা, আধপোড়া মৃতদেহের গন্ধে অস্বস্তিকর, অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি নদী সংলগ্ন গ্রামগুলোতে। সংক্রমণের আশঙ্কায় আতঙ্কে কাঁটা গ্রামবাসীরা। যোগী আদিত্যনাথ ও নীতিশ-বিজেপি সরকারের উপর উগরে দিয়েছে ক্ষোভ। উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউয়েও বিহার ও উত্তরপ্রদেশে নদীতে কোভিডে মৃতের লাশ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। উত্তরপ্রদেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যত ব্যর্থ যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেই মৃত্যুর সংখ্যা লুকোতে লাশ গঙ্গা, যমুনায় ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেক সময় হিন্দুরা লাশ দাহ করার কাঠ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তুলোধোনা করেছেন রাহুল গান্ধী।
টুইটারে রাহুল লেখেন, নদীতে একের পর এক লাশ ভেসে আসছে। হাসপাতালে মৃতদেহের স্তূপ জমা হচ্ছে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এসব কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। তার চোখে রঙিন রোদচশমা। তাই তিনি নতুন সংসদ ভবন ছাড়া আর কিছু দেখতে পাচ্ছেন না’। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।