Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আপাতত গাছ কাটা বন্ধ থাকবে -সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আপাতত গাছ কাটা বন্ধ থাকবে। পরিবেশবিদসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলমান স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাঙালির মুক্তিসং গ্রামের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মোট ১০০টি গাছ কাটার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে প্রায় ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবেশবিদসহ অন্যান্য সচেতন মহল উদ্বেগ জানিয়েছে, সেহেতু তাদের এই উদ্বেগকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা পরিবেশবিদসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার ও নগর-পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে কীভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাজ চলমান রাখা যায়, তার উপায় বের করার চেষ্টা করব। তবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের স্বার্থে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে সম্পর্কিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব ঐতিহাসিক স্থান যথাযোগ্য মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর অন্যান্য উদ্যানের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য ভিন্ন। অন্যান্য উদ্যান শুধুই একটি উদ্যান। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও গুরুত্ব রয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম সূতিকাগার।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ইতিহাসসহ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে এই উদ্যানের নাম। এই ময়দানে বিশাল সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি সর্বসম্মতিক্রমে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রদান করা হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পাকিানের জেলখানা থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করলে বঙ্গবন্ধুকে এ উদ্যানে বিশাল গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও এখানে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিনি এখানে ভাষণ দেন এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণ দেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন, ঘটনাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইতিমধ্যে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা স্তম্ভ, ভূগর্ভস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রভৃতি নির্মাণ করা হয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ