পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে চলমান লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ বধুবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ঈদের পর লকডাউন ১ সপ্তাহ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে আর এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর। কারণ দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা হুকির মধ্যে ফেলতে পারে। সংক্রমণ এড়াতে এই সিদ্ধান্ত আগামী ১৬ মে জানানো হবে। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরলেই নিরাপদ, আর না পরলে বিপদ- এই কথাটি মাথায় রাখতে হবে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন পালন হলেও সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। আর এবারের ঈদে লঞ্চ-ট্রেন এবং দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক অতিরিক্ত সচিব ইনকিলাবকে বলেন, আজ বুধবার অফিস চলবে। তবে লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়তে পারে। আজ প্রজ্ঞাপন হতে পারে।
গত ৫ মে বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় আগে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে নতুন কিছু শর্ত যুক্ত করে এর মেয়াদ ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
নতুন শর্তে বলা হয়েছে, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করতে হবে। সরকারি পঞ্জিকায় এবার ঈদের ছুটি ধরা হয়েছে আগামী ১৩ থেকে ১৫ মে। এর মধ্যে শেষ দু’দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের ছুটির হিসাবে এক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে। তবে মহামারির মধ্যে ঈদুল ফিতর ঘিরে এবার কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীদের অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে সরকার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়। এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরিসেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস আগের মতোই বন্ধ আছে। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি রয়েছে। শুরুতে লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও ‘জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে গত ২৫ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয়া হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দোকানপাট ও শপিংমল আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত না করলে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেয়া হবে।
ট্রেন লঞ্চ এবং আন্তঃজেলা বাস আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। আদেশে বলা হয়েছে, মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকাগুলো বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করবে। জনসমাবেশ হয়- এমন সব সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে বিধিনিষেধের এই সময়ে। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন। মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।