রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায় নাজিরপুরে। আর একটু ঝড়-বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই। ২/১ দিনেও তখন বিদ্যুতের নাগাল পাওয়া যায় না। তাছাড়া দিনে রাতে অসংখ্যবার লোডশেডিংতো নিয়মিত ব্যাপার। এছাড়া মাঝে মধ্যে ঘোষণা দিয়ে, আবার অনেক সময় ঘোষণা ছাড়াই লাইন সংস্কারের নামে সারাদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।
এটা হলো পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার হালচিত্র। বছরের পর বছর ধরে পিরোজপুর পল্লী বিদুৎ সমিতির এমন অব্যবস্থাপনায় একদিকে যেমন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের, অন্যদিকে সরকারেরও ভাব-মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে।
কিছু দিন আগে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে খুঁটি ও তার পরিবর্তনসহ নানা সংষ্কার কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও সামান্য মেঘ-বৃষ্টি হলেই খুঁটিপড়ে যাওয়া বা তার ছিড়ে যাওয়ার অজুহাতে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
বর্তমান দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক উন্নতি ঘটলেও নাজিরপুর বরাবরই অতিমাত্রায় লোডশেডিং থেকেই যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তারা এখন বলে আমাদের এখানের বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে বেড়াতে আসে! এই আসে তো এই যায়। এ ছাড়া মিটার রিডিং নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। মিটার রির্ডিং ম্যান মিটার রিডিং করতে আসে না মনগড়া রির্ডিং করে দেয় এতে যে বাড়িতে বিল হওয়ার কথা ১০০ টাকা সেখানে আসে কোন কোন মাসে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বর্তমান এজিএম ফুয়াদ আল আরেফিন নাজিরপুর পল্লীবিদ্যুত অফিসে যোগদান করার পর থেকেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, মিটার রিডিং নিয়ে বিল বেশি-কম হওয়া, নতুন লাইন সংযোগের নামে কালক্ষেপন করা, অফিসে দালালের দৌড়াত্ব বেড়ে যাওয়া। লাইনে সমস্যা হলে তা ঠিক করতে লাইনম্যানদের ঘুষ নেয়া।
নাজিরপুরের ঐতিহ্যবাহী কালিবাড়ি বাজারের মান্নান ইলেক্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ-এর ম্যানেজার মো. আলম এ প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের ব্যবসাই হলো বিদ্যুৎ দিয়ে, লেদ মেশিন, ওয়াল্লিং মেশিন, গ্রান্ডিং মেশিনসহ বিভিন্ন মেশিন বিদ্যুৎ ছাড়া চালানো সম্ভব নয়। সামান্য মেঘের গর্জন বা বজ্র চমকালেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কিছু সময় পর মেঘ সরে গেলেও বিদ্যুৎ আর আসে না। অনেক সময় সারা রাতেও বিদ্যুৎ না আসায় আমাদের এ বাজার অন্ধকারে ভুতুড়ে অবস্থায় পরিনত হয়। এমনকি অন্ধকারে বহুবার বাজারে চুরির ঘটনাও ঘটেছে।
এ বিষয় নাজিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ফুয়াদ আল আরেফিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, মূলত ৩৩ কেবি ফোর্থ লাইনের ফল্ট থাকার কারণে বাগেরহাট থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমরা কি করব। আর মিটার রিডিং এর অভিযোগের কথা বলছেন বিষয়টা হচ্ছে রিডিং করতে আমাদের অফিস থেকে বাড়িতে বাড়িতে যায় কম-বেশি হওয়ার কথা না কম হওয়ারই কথা। তবে যদি বেশি হয় তাহলে আমাদের অফিসে আসলে সমাধান পাবে।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, নাজিরপুরে অতিমাত্রায় লোডশেডিং নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের এজিএম এর সাথে বহুবার কথা হয়েছে। সবসময় তিনি টেকনিক্যাল সমস্যার কথা বলেন। যার কারণে আমাদের কিছু বলার থাকে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।