Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইছামতিতে বাঁশের সাঁকো

চলাচলে চরম ভোগান্তি

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর শিয়ালবুক্ক গ্রামে প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে গ্রামবাসী সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ইছামতি নদীর ওপর তৈরি করেন বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকোটি হচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু বর্ষার সময় পানির ঢলে ভেসে যায় সাঁকোটি। যার কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তি পোহাতে হয় দীর্ঘদিন ধরে।

জানা যায়, ইছামতি নদীর একদিকে রাজানগর ও অন্যদিকে দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন। দুই ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে কয়েকহাজার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম বাধা ইছামতি। গ্রামবাসী নিজেরা প্রতিবছর টাকা তুলে সেচ্ছাশ্রমে এ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। বর্ষার সময় বাঁশের সাঁকো পানির তুরে ভেঁসে গেলে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী নৌকায় পারাপার করতে হয়। পাকা সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ননের খরস্রোত ইছামতি পশ্চিম পাশে শিয়ালবুক্ক গ্রাম। ইছামতি নদী পারাপারে তাদের চলাচলের প্রধান মাধ্যম বাঁশের সাঁকো। গ্রামে মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল পারাপার এবং প্রাত্যহিক কাজে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি দিয়েই যাতায়াত করেন। অপরদিকে, শিয়ালবুক্ক গ্রামে একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর বাকি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীর ওপারে। সেখানে গিয়েই কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি করুণ পরিস্থিতি মুখে পড়তে হয় প্রসুতিসহ বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীদের।

স্থানীয় মো. করিম বলেন, শুকনো মৌসুমে কোনোভাবে সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার করা গেলেও প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে তা তলিয়ে যায়। গত বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা ফের চাঁদা উত্তোলনের মাধ্যমে সাঁকোটি নির্মাণ করেন। বর্ষাকালে এ নদীতে ভয়ঙ্কর স্রোতে রূপ নেয়। এই ভয়াল স্রোতে দুইপার পানিতে ভেঁসে ওঠে। এ সময় পারাপারের জন্য প্রয়োজন হয়ে ওঠে নৌকা।

এ ব্যাপারে রাজানগর ইউনিনের চেয়য়ারম্যান শামশুল আালম বলেন, এ সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। আশা করি দ্রæতই এ সমস্যা সমাধান করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ