Inqilab Logo

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মোড়ক উন্মোচন হলো ‘জয়পুরহাটের গণহত্যা’ বইয়ের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২১, ৪:৫৮ পিএম

জেলা প্রশাসন কর্তৃক ‘জয়পুরহাটের গণহত্যা’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে জয়পুরহাটে গণহত্যার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এতে। এউপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। মোড়ক উম্মোচন করেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাসহ জেলার সূধীজন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বগুড়া জেলার মহকুমা ছিল জয়পুরহাট। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরে, এর সুবর্ণজয়ন্তীতে জয়পুরহাটের গণহত্যা ও গণকবর নিয়ে ‘জয়পুরহাটের গণহত্যা’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে। জেলার নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এ বই থেকে, এমনটি আশা করেন মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানের আলোচকরা। জয়পুরহাট ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সময় এ এলাকা দিয়ে ভারত যাবার পথে পাক হানাদার বাহিনী জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে তাদেরকে গণকবর দেয়। হত্যার শিকার জেলার স্থানীয় স্বাধীনতাকামি মানুষও।

বর্তমান জয়পুরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলায় ৩৮টি গণকবর বা বধ্য ভূমির সন্ধান মিলেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি সদর উপজেলার পাগলা দেওয়ান বধ্যভুমি। দ্বিতীয় বধ্যভূমি হলো একই উপজেলার কড়ই কাদিপুর। কড়ই কাদিপুর গ্রামে পাক হানাদার বাহিনী হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসীকে হত্যা করে। যুদ্ধের সময় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে নারী পুরুষ জয়পুরহাট হয়ে ভারত যাবার পথে তারা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে হত্যাকান্ডের শিকার হন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ।

যুদ্ধের সময় এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীর জবানীতে ‘জয়পুরহাটের গণহত্যা’ বইয়ে উঠে এসেছে নির্মম এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা। জেলায় ৩৮টি বধ্যভূমি আবিস্কৃত হয়। বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় গবেষক ও জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আমিনুল হক বাবুল, প্রবীণ আইনজীবী মোমিন আহম্মেদ চৌধুরী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ