Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরিন কোন্দলে দিশেহারা না’গঞ্জ জেলা বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২১, ১১:৪৭ এএম

অভ্যন্তরিন কোন্দলে দিশেহারা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। জেলায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য নতুন করে ৪১ নেতার একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলেও এই কমিটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দলের ভেতর তৈরী হয়েছে উপদল। গঠন করা হয়েছে সিন্ডিক্যাট। চলছে উপদলীয় কোন্দল। যার ফলে দিনে দিনে আরো নাজুক অবস্থায় পতিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে তিন নেতার সিন্ডিক্যাট এই দলের বিপর্যয়ের আরো একটি কারন। এরা হলেন সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহিদ হাসান রোজেল এবং পান্না মোল্লা। এরা দলের ভেতর উপদল গঠন করে সব কিচু নিয়ন্ত্রন করতে চাইছেন। জানা গেছে এই তিন নেতা অনেক বিষয়ে দলের অন্য সব নেতাকে পাশ কাটিয়ে অনেক স্বিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। ফলে একদিকে যেমন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার দলটির আগে বাড়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছেন, অপরদিকে তেমনি এই তিন নেতাও দলের অগ্রগতিতে বাধার সৃষ্টি করছেন। গতকাল এই তিন নেতার সিন্ডিক্যাট নিয়ে মতামত ব্যাক্ত করেন জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। অথচ এই তিন নেতার মাঝে একমাত্র মামুন মাহমুদ ছাড়া বাকী দুইজনের রাজনৈতিক কোনো ক্যারিশমা নেই, নেই রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং কোনো কর্মী বাহিনী। তারপরেও কেবল মাত্র তাদের নেপথ্যে এক শিল্পপতি প্রভার কারনে এই দুই জনকে নিয়ে সিন্ডিক্যাট গড়ে তুলেছেন মামুন মাহমুদ। সিন্ডিক্যাট ভুক্ত এই তিন নেতার মাঝে কেবল মাত্র মামুন মাহমুদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রান্ড রয়েছে। তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলেন এবং তখন থেকেই জেলা ব্যাপী যেমনই হোক তার একটি কর্মী বাহিনী রয়েছে। কিন্তু জাহিদ হাসান রোজেলের তেমন কিছু নেই। তিনি জেলা ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের গুরুতপূর্ণ পদে ছিলেন অথচ তিনি এই জেলায় একজন কর্মীও তৈরী করতে পারেননি। ফলে এখন তিনি ওয়ান ম্যান শো রাজনীতি করছেন। গত কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে তার কোনো গুরুত্ব নেই বলেই জানেন দলের সবাই। কিন্তু মাতাব্বুরি করতে ছাড়ছে না। ফলে দলে বিচ্ছৃংখলার সৃষ্টি হচ্ছে।
অপরদিকে পান্না মোল্লাতো কোনো রাজনীতিবিদই নন। তিনি একজন ব্যাবসায়ী পরিবারের সদস্য তাই সুবিধাবাদী এক নেতা এই পান্না মোল্লা। শুধু তাই নয় পান্নার পরিবারে তার এক ভাই এক দলের রাজনীতি করেন। তাই পারিবারিক রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবে পান্না জেলা বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা শাহআলমের আবিস্কার। তার কোনো রাজনৈতি প্রজ্ঞা বা দূরদৃষ্টি থাকাতো দূরের কথা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নূন্যতম কোনো সম্পর্ক নেই। তাই এমন একজন নেতা যখন দলের সদস্য সচিবের সাথে সিন্ডিক্যাট গড়ে তুলেন তখন এই দলের ভবিষ্যৎ যে কি হবে সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
এদিকে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি রয়েছে। তাই এই কমিটির অন্য সদস্যরা এই ধরনের সিন্ডিক্যাট মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না। ফলে এরই মাঝে বিরাজ করছে চরম বিচ্ছৃংখলা। একদিকে তৈমুর দলের অন্য নেতাদের কোনো স্বিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেন না আবার মামুনের নেতৃত্বে তিন নেতার সিন্ডিক্যাট নতুন করে বিচ্ছৃংখলার সৃষ্টি করছে। ফলে এসব কারনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ঐক্য বিনষ্ঠ হচ্ছে। চরম বিচ্ছৃংখলা হচ্ছে দলের মাঝে। কারন এই তিন নেতার সিন্ডিক্যাড জেলা বিএনপির সাবেক নেতা শাহআলমের সাথে কথা বলে এই সিন্ডিক্যাট গড়ে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ