পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস আমাদের জীবনে বিরাট ঝুঁকি তৈরি করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এই ঝুঁকি নিরসনের দুইটি পথ আছে। একটি হাসপাতাল চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রভৃতির উন্নতি করা। আরেকটি মানুষকে সচতন করা, তাদের অভ্যাসগত পরিবর্তন করা। এই ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য আমাদের এইদিকে নজর দিতে হবে।
গতকাল সোমবার সকালে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে একটি অনলাইন আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলাচনা অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম, আইইডিসিআর’র উপদেষ্ঠা ড. মোশতাক হোসেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা ডা. মোজাহেরুল হক, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ। আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এখন আমাদের ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। সর্বশক্তি নিয়োগ করে সবাইকে স¤পৃক্ত করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই লক্ষ্যেই দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ‘করোনাভাইরাস- সহিষ্ণু গ্রাম’ গড়ার এই উদ্যোগ নেয়া হয়।
এটি একটি স্বেচ্ছাব্রতী পরিচালিত উদ্যোগ। স্বেচ্ছাব্রতীরা চারটি ধাপে এই উদ্যোগ পরিচালনা করছেন। প্রথম ধাপে স্বেচ্ছাব্রতীরা কমিউনিটি মোবিলাইজেশন কমিটি গঠন করার মাধ্যমে কাজ শুরু করেন, দ্বিতীয় ধাপে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও আচরণগত পরিবর্তন আনার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করেন, তৃতীয় ধাপে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা পেতে সহায়তা করেন এবং চতুর্থ ধাপে স্বেচ্ছাব্রতীরা বিপন্ন মানুষদের বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
বর্তমানে প্রায় ১২০০ গ্রামে ১২৯টি ইউনিয়ন কমিটি দ্বারা এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কর্মরত গ্রাম ৫৯৬টি গ্রামের ১৮৬৮৬ জন কোভিড পরীক্ষা জন্য চিহ্নিত করা হয় পরীক্ষায় ২৩০২ জনের পজিটিভ আসে। এর মধ্যে ১৬১৯ জনকে নিজেদের ঘরে আইসোলেশনে রাখতে সহায়তা করা হয়। অবশিষ্ট ৯২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে পাঠানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ১৯৯৭ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।