পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘প্রিভেনশান ইজ বেটার দেন কিউর’ প্রবাদটি কার্যকর করা এখন বাংলাদেশের জন্য সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। বাতাসে ছড়ানো বৈশ্বিক মহামারি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রতিবেশী ভারত বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আগে প্রতিরোধ বুহ্য গড়ে তুলতে হবে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভারত ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে। করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। নেপালে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। আমাদের তিন দিকেই ভারতের সীমান্ত। বাংলাদেশেও ভয়াবহ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অধিক মাত্রায় সংক্রমণের বৈশিষ্ট্যযুক্ত করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ভারতকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, প্রতিবেশী দেশে (ভারত) সংক্রমণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ঝুঁকির শঙ্কা বাড়ে। প্রতিবেশী দেশটির দ্রুত সংক্রমণশীল ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে। এটি অবশ্যই আতঙ্কের; কারণ এটি খুব দ্রুত ছড়ায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে ভারতের মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এই ভ্যারিয়েন্টে একজন থেকে ৪ শত’ জন পর্যন্ত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। দেশে এই ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়লে তা সামাল দেয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশে গত ৯ মে প্রথম করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এই ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়লে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হবে। যা হবে বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর। শুধু স্বাস্থ্যসেবায় নয়, দেশের অর্থনীতিকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে। এ অবস্থায় দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভারত থেকে বিপজ্জনক বার্তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। আবারো করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সামান্যতম উদাসিনতায় দেশের জন্য বিপজ্জনক ভবিষ্যতেরই পূর্ভাবাস।’
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্সের (আইসিডিডিআর) বিজ্ঞানী ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে যে ঝুঁকি আসছে তা বাংলাদেশের জন্য বিরাট উদ্বেগের বিষয় হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ এখনো নাগরিকদের জন্য টিকা পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে পারেনি। সেটা এলে সামাল দেয়া কঠিন হবে। কাজেই যাতে ছড়িয়ে না পরে সে জন্য আগেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
গতকাল সচিবালয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে আসতে না পারে সে লক্ষ্যে আমরা ভারতের সাথে লকডাউন আরো শক্তিশালী করতে বলেছি। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সীমান্তে বিজিবিকে আরো শক্তিশালী টহল দেয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে সতর্কবার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সীমান্ত বন্ধই শুধু নয়, এখনই সীমান্ত দিয়ে সবকিছু আনা নেয়া এমনকি দেশের বৃহৎ স্বার্থে দু’দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের আসা যাওয়া বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি জোরালো করা উচিত; অথচ টিকা সঙ্কট। এ অবস্থান দেশের মানুষকে এবং অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে সীমান্তে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারত বড় দেশ হওয়ায় করোনার মহাবিপর্যয়ের পর হয়তো তাদের পাশে দাঁড়াবে অনেক দেশ। কিন্তু ছোট অর্থনীতির বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রভাব ততটা নেই। ফলে ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্ট যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে ‘সীমান্ত সীল’ করে দেয়া উচিত।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে গত ৫ এপ্রিল প্রথম লকডাউন শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল কঠোর লকডাউন শুরুর পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৮ মে আবার ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে পণ্য আনানেয়া চলছে। আটকে পড়া মানুষ আসা যাওয়া করছেন। গত কয়েক দিনে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে।
জানা গেছে, সীমান্ত বন্ধ থাকলেও যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন। স্বাস্থ্যা অধিদফতরের তথ্য অনুসরে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৫৩৭৯ জন বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে আকাশ পথে ৪ হাজার ৮৪৮ জন, স্থল বন্দর দিয়ে ৩৬৩ জন, সমুদ্রবন্দর দিয়ে ১৬৮ জন। সীমান্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আখাউড়া, বিবিরবাজার, বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, টেকনাফ, বিলুনিয়া, সোনা মসজিদ, ভোমরা, দর্শনা, বুড়িমারি, সোনাহাট, রৌমারি, হিলি, রাধিকাপুর, তামাবিল, গোয়াইনঘাট, সুতারকান্দি, বিয়ানিবাজার, জকিগঞ্জ, বল্লা চুনারুঘাট, ফুলতলা, চাতলা, নাকুগাও, গোবরাকুড়া, ধনুয়া বকশিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে মানুষ বাংলাদেশে ফিরে আসছেন। আবার ভারতীয়রা ফিরে যাচ্ছেন। যারা সীমান্ত দিয়ে আসছেন তারাই করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বাহক।
৭ মে বাংলাদেশের যশোরে দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তারা দুজনই পুরুষ এবং উভয়ই সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্য গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। অতপর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কথা স্বীকার করে। জিআইএসএআইডির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই দুই ব্যক্তির একজনের বয়স ৪১ ও অন্যজনের বয়স ২৩ বছর। ভারতে ভ্রমণের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও করোনাভাইরাসের কোনো টিকা নেননি। তাদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি)। জিআইএসএআইডির উপাত্ত ধরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) গবেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বাংলাদেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) বি.১.৬১৭.২ পাওয়া গেছে। আইইডিসিআর এটি সাবমিট করেছে। এটি গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সংগুহীত নমুনা থেকে পাওয়া গেছে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ‘বি.১.১৬৭.২’ নামে পরিচিত।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারের ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্সের (আইইডিসিআর) বিজ্ঞানী ড. এএসএম আলমগীর বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যে বাংলাদেশে নতুন করে করোনার ঢেউ তুলবে না, এটা বলতে পারি না। কারণ, ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে অনেক স্পর্শকাতর সীমান্ত। সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পরও লোকজন আসা যাওয়া করছেন। এটা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষে মানুষ যেভাবে গ্রামে যাচ্ছেন; এটা ভীতির কারণ হয়ে গেছে। কাজেই মানুষ যাতে যানবাহনে চলাফেরা করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর হতে হবে।
বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের এক ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে উঠার কথা বললেও বাস্তবে অর্থনীতি খুব ছোট। এ ছাড়া দুর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা, আইনের শাসনের অভাব এবং সুষমবণ্টনের অভাবে মানুষের মধ্যে আয় বৈষম্য ব্যাপক। এ অবস্থায় ভারতের মতো করোনা ঝুঁকি সামাল দেয়া কঠিন। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। যদিও ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের মধ্যে এপাড়-ওপাড় যাওয়া আসা চলছে। যারা আসা যাওয়া করছেন তাদের কাউকে কাউকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও অধিকাংশই নির্বিঘ্নে গ্রামে চলে যান। ইউরোপের দেশগুলোর মতো বাংলাদেশে কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা নেই। আবার ইউরোপ আমেরিকার মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার সুযোগ অনেক কম। এর অর্থ হলো, সহজেই করোনার অনেক ‘ব্লাইন্ড স্পট’ থাকার সুযোগ থাকে। অর্থাৎ এমন সব স্থান বা এলাকা থাকতে পারে যেখানে করোনাভাইরাস বিদ্যমান থাকলেও কেউ তা জানে না।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এ অবস্থায় ১৬ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউন দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থায় মানুষের গাদাগাদি অব্যাহত আছে। যদিও আন্তঃজেলা পরিবহন নিষিদ্ধ, তবু লাখ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন। ফেরিঘাট ও রাস্তাঘাট দেখলে সেই ভয়বহতা বোঝা যায়। গণপরিবহণ বন্ধ অথচ গত শনিবার শতাধিক গণপরিবহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে। গতকাল মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে অর্ধশত বড়বাস রাস্তায় আইন শৃংখলা বাহিনী আটক করেছে। যারা ঢাকা থেকে গ্রামের দিকে ছুটছেন তাদের উদ্দেশ্য পবিত্র ইদুল ফিতরে গ্রামের বাড়ি গিয়ে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা। কিন্তু তারা যে করোনাভাইরাস বহন করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরিবার পরিজনকে আক্রান্ত করবেন না সে নিশ্চয়তা কে দেবে? তারা কেউ জানেন না নিজেরা করোনাভাইরাস বহনকারী কি না।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদের মধ্যে এভাবে মানুষ গাদাগাদি করে যানবাহনে যাতায়াত করলে, মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কেনাকাটা করলে অদৃশ্য করোনাভাইরাস আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। (আইইডিসিআর) বিজ্ঞানী ড. এএসএম আলমগীর বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে ঢুকে পড়ার পর যদি আমরা দেশজুড়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রক্ষায় ব্যর্থ হই, তাহলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, এই ভাইরাস তার প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী ছড়িয়ে পড়বে’। কারণ ভারতের নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়া পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ভারতের মহারাষ্ট্রে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর প্রথম করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয়। এখন সেটা গোটা ভারতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে চার হাজার ১৮৭ জন। এ সময় চার লাখ এক হাজার ৫২২ জনের দেহে নতুন করোনা শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার ১৯৭ জন। আর বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগীর পরিমাণ ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ জন। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৬ জন। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে আগেই সতর্ক হতে হবে যাতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে না পড়ে।
বাংলাদেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই বাংলাদেশের মানুষকে খুবই বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।