Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমলা নিয়োগ দিয়ে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে হেয় করা হয়েছে’

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ৭:৫৫ পিএম

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে একজন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ দেয়ায় এর বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিৃবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করার পাশাপাশি একজন কোষাধ্যক্ষ শিক্ষা ও গবেষণার বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণীমূলক কর্মকাণ্ডে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকেন। তাই দাপ্তরিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা একজন ব্যক্তিকে দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে পুরো উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একজন কর্মকর্তা তার দাপ্তরিক কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পারবেন বলে আমরা মনে করি না। অথচ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নয়নের জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। এজন্য ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই নীতি-নির্ধারণী পদসমূহে স্ব-স্ব ক্ষেত্রের সফল গবেষক ও শিক্ষক অধ্যাপককে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বে না থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন যদি মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণীমূলক পদে গবেষক/শিক্ষক নিয়োগ দিত তাহলে এই ধরণের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো যেত। গত বেশ কিছুদিন যাবত দেশের উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপের যে অপচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে এই নিয়োগ তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমরা মনে করি বেতন বৈষম্য সৃষ্টি করা থেকে শুরু করে ‘নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালায়’ হস্তক্ষেপসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণীমূলক পদে আমলাদের নিয়োগ একই সুত্রে গাঁথা। ’

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এই অযাচিত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্বার্থান্বেষী মহল উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পীঠস্থান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ধীরে ধীরে মর্যাদাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অশুভ প্রয়াস চালাচ্ছে। এই অনধিকারচর্চা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠসমূহে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে এবং এই ধারা এখনই রোধ করা না গেলে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’

অনতিবিলম্বে এই আদেশ বাতিল করে একজন স্বনামধন্য গবেষক অধ্যাপককে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের দাবি জানায় জাবি শিক্ষক সমিতি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ