বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন বন্ধের সরকারী নির্দেশনার মধ্যেই রাজধানী থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা পারি দিয়ে কাঠারবাড়ী থেকে বাস যোগে হাজার হাজার মানুষ নির্বিঘেœই বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে পৌছে যাচ্ছে। করোনার আতংক থামাতে পারেনি ঘরমুখো মানুষে যাত্রা। গত ৪-৫ দিন ধরে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলেও পদ্মার পশ্চিম তীরে তা প্রতিরোধে শুরু থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। অথচ ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগেই সরকারী হিসেবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। মারা গেছেন প্রায় পৌনে ৩শ।
শুরু থেকে যথাযথ প্রতিরোধ ছিলনা। ফলে ঢাকা থেকে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ মাওয়া’র শিমুলিয়াতে পৌছে যেকোন ভাবেই পদ্মা পার হয়ে কাঠালবাড়ী পৌছে সেখান থেকে অভ্যন্তরীন রুটের বাসেই ভাংগা-মোস্তফাপুর হয়ে মাদারীপুর ও বরিশালের সীমান্তবর্তী ভুরঘাটায় পৌছে যাচ্ছেন। কাঠালবাড়ী থেকে ভুরঘাটা পৌছতে সময় লাগছে পৌনে দু ঘন্টা। আর ভুরঘাটা খেকে বরিশাল মহনগরীতে দেড়ঘন্টা। এমনকি কাঠালবাড়ী থেকে বরিশাল পর্যন্ত গ্যাস চালিত বিপুল সংখ্যক থ্রী-হুইলরও প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। আর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠীতে আগুন্তকরা পৌছে যাচ্ছেন জেলার অভ্যন্তরীন রুটের বাস সহ বিভিন্ন যানবাহনে।
অপরদিকে কাঠালবাড়ী থেকে ভাংগাÑগোপালগঞ্জ-টুংগিপাড়াÑপাটগাতি হয়ে বিভিন্ন যানবাহনে মানুষ ছুটছে পিরোজপুর, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ, সণ্যাশী সহ বিভিন্ন গন্তব্যে। পার্থক্য শুধু কিছু বাড়তি সময় ও অর্থ ব্যায়ের। ঈদের দিন পর্যন্তই ঘরমুখি মানুষের এ শ্রোত অব্যহত থাকবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল।
রোববার বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঢাকা থেকে আগত কয়েকজন যাত্রী জানান, ‘মাওয়া এসে পদ্মা পাড়ি দিতেই কিছু কষ্ট ও সময় ব্যায় হলেও আর কোন সমস্যা হয়নি। কাঠালবাড়ী ভুরঘাটা পর্যন্ত মাদারীপুর জেলার অভ্যন্তরীন রুটের বাসে আসার পরে সেখান থেকে বরিশালের অভ্যন্তরীন রুটের বাসে চলে এসেছি’। গ্যাস চালিত স্কুটার এবং মাইক্রোবাসও চলছে।
বরিশাল মিনিবাস টার্মিনালেও একই চিত্র। হাজার হাজার মানুষ ভাংগা ভাংগা পথে অভ্যন্তরীন রুটের বাসেই ছুটছে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর সহ বিভিন্ন এলাকায়। আর বরিশাল মহানগরী থেকে সড়কপথে লাহারহাটে পৌছে সেখানে থেকে স্পীডবোটে তেতুলিয়া নদী পাড়ি দিয়ে অসংখ্য মানুষ ছুটছে দ্বীপজেলা ভোলাতে।
এভাবেই করোনা মেকাবেলার লকডাউন আনলক করে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন দক্ষিণাঞ্চলমুখি জনশ্রোত অব্যাহত রয়েছে। আর এ জনশ্রোতকে ‘বর্তমান করোনা সংকটে জনস্বাস্থ্যের জন্য কোন ভাল লক্ষন নয়’ বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন। তাদের মতে, ‘এসব ঘরমুখি মানুষের কতজন যে করোনা ভাইরাসের বাহক, তার হিসেব নেই। এরাই দক্ষিণাঞ্চলে এসে নিজ পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে সংক্রমিত করতে পারে’। ‘গত বছরও ঈদের পরেই দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমন সর্বোচ্চ চুড়ায় পৌছেছিল’ বলে স্মরন করিয়ে দিয়ে ‘সকলকে অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সতর্ক হবার’ পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকগন ।
তবে ঘরমুখি এ জনশ্রোত প্রতিরোধে এখন আর তেমন কোন কার্যক্রমও নেই প্রশাসন সহ আইনÑশৃংখলা বাহিনীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।