Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘কেউ কথা রাখেনি’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে দোকান গণপরিবহন খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। শপিং মল, গণপরিবহন খুলে দেওয়ার জন্য নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সরকারকে কথাও দেন- যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। কিন্তু খুলে দেওয়ার পরে আর কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। এ পরিস্থিতিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন কথা দিয়ে কেউ কথা রাখেনি।
প্রতিদিন মার্কেটে ভিড়, ফুটপাতে গা ঘেঁষাঘেষি করে কেনাকাটা করার চিত্র, গাদাগাদি করে মার্কহীন অবস্থায় ফেরি পার হয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। সেইসব ছবি দেখে হতাশাব্যক্ত করে তিনি বলেন, নিজেদের ভালো আমরা কেউ বুঝতে চাইলাম না। একটু দূরত্ব রেখে দাঁড়ানো আর শতভাগ ডাবল মাস্ক ব্যবহার করলেই সব স্বাভাবিক করে দেওয়া যেত। কিন্তু যা কিছুই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, মানুষ কোনটিই মানেনি।
যখনই আমরা আটকানোর চেষ্টা করেছি, তখনই সব খুলে দিয়ে নানা অনুরোধ আন্দোলন হয়েছে। সবাই নিয়ম মানার কথা দিচ্ছে; কিন্তু যেই তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি, অমনি তারা কথা রাখছেন না। হতাশার বিষয় হলো এতো দেখেও শিখছি না। মানুষকে নিয়ন্ত্রণের কোনও উপায় আর নেই। বেপরোয়া হয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এপ্রিল মাসে বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন- মে মাস নাগাদ আমাদের এখানে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসবে। গত কয়েকদিন ঈদকে কেন্দ্র করে যা ঘটতে দেখা যাচ্ছে- আগামী ১৪ দিন পর আমরা তার ফলাফল পাব। যারা নির্দেশ মানেননি, অমান্য করে নিজেদের রিস্ক নিয়ে ভিড়ে গেছেন, তারা যেন তাদের পরিণতির জন্য কোনোভাবে সরকারকে দায়ী না করেন। সরকার তার সাধ্যমতো সকল চেষ্টা করেছে,পরিস্থিতি বুঝেই নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ