Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মেঘনায় বাঁধ নির্মাণে প্রচেষ্টা

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

মেঘনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে শত শত বাড়ি ঘর, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলী জমি। প্রতিবারে ভোটে নেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। এবার এসেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক এক সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা আব্দুজজাহের সাজু। জনপ্রতিনিধি না হয়েও রামগতির মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে জনগনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। রামগতির যে কোন দুর্যোগ মুহূর্তে সর্বপ্রথম ছুটে আসেন এ নেতা। সাধ্য অনুযায়ী সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। করোনা মহামারী ও নদী ভাঙন কবলিত মানুষের মাঝে নানা দান অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের প্রধান সমস্যা মেঘনার ভাঙন। স্বাধীনতার পরবর্তী এ পর্যন্ত নদী বাঁধ নিয়ে ব্যাপক রাজনীতি করেছে এখানকার নেতারা। নির্বাচনের সময় আসলে এখানকার রাজনীতিবিদরা নদী বাঁধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেন। নির্বাচনের পর আর খবর থাকেনা কারো। ভাগ্যহারা এই জনগোষ্ঠী বার বার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বর্তমানে এই নদী বাঁধ হবে কি? এমন হতাশার মধ্যে রয়েছে রামগতি-কমলনগরবাসী। নদী বাঁধের পুরনো এই পাইল নিয়ে আবারো দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন রামগতির কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুজজাহের সাজু।

ভাঙন কবলিত মানুষের মতে, আব্দুজজাহের সাজুর মতো নেতার মাধ্যমেই সম্ভব রামগতি-কমলনগরকে মেঘনানদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা। ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রী-সচিবদের সাথে কয়েকটি বৈঠক করে নদী বাঁধের কাজের অগ্রগতি নিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে কয়েকটি স্টাটাস ও দিয়েছেন।

চরকাদিরা ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা ওমর ফারুক ভূঁইয়া বলেন, আব্দুজজাহের সাজু একজন জনপ্রিয় নেতা। দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন তিনি। এখানকার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙন। সাজু রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নদী বাঁধের ফাইল নিয়ে। সে জনপ্রতিনিধি হলে রামগতি-কমলনগরবাসীর ভাগ্য বদল হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাঠারিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান এড. একেএম নুরুল আমিন রাজু বলেন, মেঘনার ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুজজাহের সাজু ব্যাপক পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তার প্রচেষ্টায় আশার আলো দেখতে পারে রামগতি-কমলনগরবাসী।

এ বিষয়ে আব্দুজজাহের সাজু বলেন, রামগতি-কমলনগরবাসীর প্রাণের দাবি নদী বাঁধ। তাই আমি এই প্রজেক্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ নানা দপ্তরে যোগাযোগ ও তদবীর করে একটা পর্যায় নিয়ে আসি। আশাকরি দ্রুত নদী বাঁধের একটা সুখবর পাবে এলাকাবাসী। তিনি বলেন, আমার বাকি জীবনটা এলাকাবাসীর সুখে-দুঃখে কাটাতে চাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ