Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্তমান স্বামীকে গোপন ও সাবেক স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২১, ১২:১৫ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বর্তমান স্বামীকে গোপন ও সাবেক জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতার তালিকা ভুক্ত হয়েছে পৌর শহরের এক নারী। এঘটনায় ওই নারীর সাবেক স্বামী মিথ্যা তথ্য গোপন করে কেন বিধবা কার্ডে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।

অভিযোগে জানা যায়, পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের দত্তপাড়া এলাকার মৃত রজব আলীর পুত্র হারুন অর রশিদ আকন্দ প্রায় ১৬ বছর পূর্বে একই এলাকার তাহির উদ্দিনের কন্যা আসমা খাতুনকে বিয়ে করেন। দীর্ঘদিন সংসারের পর তাদের সম্পর্কের টানাপোড়নে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার বেতন্দর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আসমা খাতুনের বিয়ে হয়।

এরই মাঝে সরকারের শতভাগ বিধবা ভাতা নিশ্চিত করার নির্দেশনায় আসমা খাতুন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা হয়ে সাবেক স্বামীকে মৃত দেখিয়ে আবেদন করেন। যা পৌরসভার বিধবা ভাতার চুড়ান্ত তালিকায় ৭৩নং ক্রমিকে নাম প্রকাশিত হয়। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৩২৯৫৪০১২৩০।

চুড়ান্ত তালিকাটি স্থানীয় ভাবে প্রকাশিত হলে ওই নারীর সাবেক স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা তালিকায় নাম আসায় বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে কেন এমন হলো জানতে চেয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

অভিযোগকারী হারুন অর রশীদ বলেন সে আমার স্ত্রী না তারপর আমি জীবিতকে মৃত দেখিয়ে সনদপত্র বানিয়ে এমন কাজ করেছে যা সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। আইনবহির্ভূত এমন কাজ করায় তার বিচার দাবি করেন তিনি।

অভিযুক্ত আসমা খাতুন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাবেক স্বামীর নাম রয়েছে তাই এ নাম ব্যবহার করেছি। আমার দ্বিতীয় স্বামী মৃত থাকায় আবেদন এমন আবেদন করি। সাবেক স্বামীকে মৃত বানিয়েছেন জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুল মোতালেব জানান, আসমা আমার ওয়ার্ডের ভোটার তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে গৌরীপুর। মৃত্যু সনদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি
বলেন, আমি তাকে কোনো মৃত্যু সনদ দেইনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্তকরে প্রতিবেদন দিতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ