Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকতে হবে

১৬ মে পর্যন্ত বিধি-নিষেধ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না। সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঈদের ছুটিতে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। কিছু শর্তে গণপরিবহন চলার অনুমতি দিয়ে চলমান লকডাউন যে বাড়ছে দু’দিন আগেই তা জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় আগে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে নতুন কিছু শর্ত যুক্ত করে এর মেয়াদ ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হল।

নতুন শর্তে বলা হয়েছে, সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করতে হবে। সরকারি পঞ্জিকায় এবার ঈদের ছুটি ধরা হয়েছে আগামী ১৩ থেকে ১৫ মে। এর মধ্যে শেষ দুদিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের ছুটির হিসাবে এক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে। তবে মহামারীর মধ্যে ঈদুল ফিতর ঘিরে এবার কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীদের অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে সরকার।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন নামে পরিচিতি পায়। এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস আগের মতই বন্ধ আছে। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি রয়েছে। শুরুতে লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও ‘জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে গত ২৫ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেয়া হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দোকানপাট ও শপিংমল আগের মতই সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত না করলে দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ হয়ে দেয়া হবে।

ট্রেন ও লঞ্চ এবং আন্তঃজেলা বাস আগের মতই বন্ধ থাকবে। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। আদেশে বলা হয়েছে, মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভায় মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করবে। জনসমাবেশ হয় এমন সব সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে বিধিনিষেধের এই সময়ে। সড়ক, নৌ ও রেলপথে দূরপাল্লার যাত্রী বহন বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ইতোমধ্যে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচিত দেশগুলো বাদে অন্য সব গন্তব্যে ‘কঠোর শর্তসাপেক্ষে’ নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন। মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ