পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পারদ নিম্নমুখি হলেও মৃত্যু যেন থাকছেই না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে মৃত্যু বেশি। গতও ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৭০৫ জনের। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ জন। মৃত্যু ৬১ জনের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একদিনে ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৮৭০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩২ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৪টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৬২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২১ হাজার ৯১৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৪টি। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭ জন। বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে ২ জন করে ৬ জন। এছাড়া খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে ২ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৬ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ২ জন।
২৪ ঘন্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৪৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন। এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪০৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫০৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৩১৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৩১৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২৩৪ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম করোনা শনাক্তের এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বিশ্বে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষের। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে মৃতের সংখ্যায় অবস্থান ৩৭তম। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।