রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বরগুনা জেলায় একটানা ৭-৮ মাস ধরে অনাবৃষ্টি থাকায় আউশ বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও আউশের হাইব্রিড, উফসি ও স্থানীয় জাতের বীজতলা তৈরি করলেও রোদের তীব্রতায় বীজতলা ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, জেলায় চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে আউশ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। একটানা ৭-৮ মাস ধরে কোনো বৃষ্টিপাত না থাকায় প্রয়োজনীয় বীজতলা প্রস্তুত করা যাচ্ছে না। বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসামি এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে বীজতলা থাকবে না। খাল-জলাশয় শুকিয়ে পানি ক‚ন্য হয়ে গেছে। নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় বীজতলায় নদীর পানিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
কৃষকরা জানিয়েছেন, বীজতলায় এখনই পানির বেশি প্রয়োজন। তাই বৃষ্টির জন্য আরো অপেক্ষা করতে হলে আউশ মৌসুমে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। কৃষক ফরিদ হোসেন জানান, কয়েক দশক ধরে চাষাবাদ করে আসছি কিন্তু এমন অবস্থা কখনো দেখিনি। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদে বিলম্ব হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ৪টি পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়নের সর্বত্রই কমবেশি দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে ভুগছেন চাষিরা। বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধু আউশ বীজতলা নয়, বৃষ্টি না হওয়ায় অন্যান্য ফসল হলুদ, মরিচ, পাঠ, শাকসবজি ক্ষেতও শুকিয়ে যাচ্ছে। নদী থেকে পানি এনে সেচ দেবার ব্যবস্থাও বর্তমানে নেই লবণাক্ততার কারণে।
বরগুনার চালিতাতলী গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা জানান, আমি ১২ শতাংশ জমিতে বীজতলা করেছি। একটি মেশিন এনে পুকুরে পানি দিয়ে বীজতলায় সেচ দিচ্ছি। সকলের পক্ষে মেশিন দিয়ে সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে অল্পদিনের মধ্যেই বীজতলা পুড়ে যাবে।
বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এসএম বদরুল আলম জানান, বৃষ্টি না হলে আউশ বীজতলার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা অসম্ভব হবে। কেউ কেউ পুকুরের পানি বীজতলায় ব্যবহার করলেও তাদের সংখ্যা কম। সাধারণ এই মৌসুমে বৃষ্টির ওপর নির্ভর করেই আউশ বীজতলা তৈরি করে কৃষক। সঠিক সময় বীজ রোপণ করতে না পারলে আউশ উৎপাদনও ব্যাহত হবার আশঙ্কা করছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।