রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে ৪৫০ একর উপসী বোরো ধান জমি ২ বছর ধরে অনাবাদী রয়েছে।
জানা যায়, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমকান্দি ও নব্বরচর ২টি মৌজায় ৪৫০ একর ধানি জমি অনাবাদী রয়েছে। তারমধ্যে পশ্চিমকান্দি মৌজায় ১০০ একর এবং নব্বরচর মৌজায় ৩৫০ একর। আর এ মৌজার অন্তর্গত রয়েছে, বালুয়াকান্দি, শিমুলিয়া, কদমতলী, দত্তেরচর ও ভাষারচর গ্রাম। আদিকাল হতে এসব জমি হতে কৃষকরা ধান উৎপাদন করে আসছে। কিন্তু গত দুই বছর ধরে এসব জমিতে ধান চাষ হচ্ছে না। বিগত বছরে ধান উৎপাদনের জন্য ৭টি সেচ প্রকল্প বসানো হয়। প্রকল্পের মধ্যে দত্তেরচরের আবুল হাসেম মেম্বারের ১টি, শিমুলিয়ার কালাই গোলদারের ২টি, শিমুলিয়ার গাজী মিয়ার ১টি, গুয়াগাছিয়ার মোতালেব মিয়ার ১টি ও জসিম উদ্দিনের ২টি। বর্তমানে জসিম উদ্দিনের প্রকল্পটি চলমান আছে।
দত্তেরচর গ্রামের নান্নু হাজী ও শিমুলিয়া গ্রামের সিরাজ মিয়া বলেন, প্রকল্পগুলো ডিজেল চালিত। তাই ধান জমিতে মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমান সেচ ব্যবস্থা পাই না। এতে ফলন কম হয়, পোষায় না। এ জন্য জমি চাষ করি না। প্রকল্পের মালিক আবুল কাসেম মেম্বার ও আবুল হাসেম জানায়, আমরা প্রকল্পটি ডিজেল দিয়ে চালাইতাম। এতে খরচ বেশি পড়ে। কৃষকরা ঠিকমত টাকা দেয় না। ফলে ৫টি প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে অনাবাদী জমিগুলোতে গোচারন হচ্ছে।
প্রকল্প ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বলেন, ডিজেলে খরচ পড়ে বেশি তাই গত বছর বিদ্যুতের জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু ফল হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকিলে খরচ কম পড়ত এবং কৃষকরা আগ্রহী হত।
গজারিয়া উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান বলেন, এ বছর পুরো উপজেলায় ২৪৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়। কিন্তু ঐ এলাকায় এত জমি অনাবাদী রয়েছে। তা আমাদের জানা নেই।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরশন গজারিয়া কার্যালয়ের (ক্ষুদ্র সেচ)-এর উপ-সহকারী প্রকৌলী মো. আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি ঐ এলাকার কৃষক বা লোকজন আমাদের দপ্তরে কখনো আসে নাই কিম্বা আবেদন করেনি। লোকজন আসলে আমরা সহযোগিতা করব। আর ঐ জমির কাছে খাল ও বিদ্যুৎ থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ গজারিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জহিরুল করিম বলেন, ফসলের জন্য আমরা অগ্রাধিকার দেই। আমাদের কিনার চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করি। জমিতে তিনটি পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থা প্রকল্প স্থাপন করা যেতে পারে। জমির নিকটবর্তী কোন খাল বা নদী হতে সহজে পানি উত্তোলন করে সেচ ব্যবস্থা করা যায়। তবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডি সি)-এর পরামর্শ সাপেক্ষে প্রকল্প স্থাপন করলে ভালো হয় এবং আমরা সহযোগিতা করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।