বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মগটুলা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের কাছারি বাড়ির জমিতে রাতারাতি দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজ করায় অভিযান চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দখলদার ব্যক্তি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হুমকি দেন স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওই কর্মকর্তা নেতা শামীমের বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
জানা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়। সরকারি ২একর ৪ শতাংশ জমিতে রয়েছে কার্যালয়টি। কাছারি বাড়ি নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়া জমির পাশে অল্প পরিমাণে জমি কেনেন মো. শামীম সরকার নামে এক নেতা। তিনি এ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। নিজের কেনা জমির পাশে ইউনিয়ন কাছারির জমি থাকায় সেখানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন শামীম। কয়েক মাস আগে নিজের বাসার সেফটিক ট্যাংক স্থাপন করেন সরকারি জমিতে। ওই সময় তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি নিয়ে নিষেধ করেন। ইতোমধ্যে ওই সহকারী কমিশনার (ভূমি)র' বদলি হলে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করে শামীম। এরই মাঝে গত শুক্রবার মধ্যরাতে আবার কাজ শুরু করলে খবর পেয়ে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেন শামীমকে। কিন্তু শামীম তার কথা না শুনে রাতেই ভবন নির্মাণের কাজ করে ফেলে।
সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনামিকা নজরুল অভিযান চালিয়ে নির্মিত ভবনটির দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উচ্ছেদ করার অভিযান চলে। তারপরেও কিছু অংশ ভাঙার বাকি রয়েছে। এসময় নেতা শামীম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আজিজুল হককে হুমকি দেয়। পরে তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের জানান।
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, ক্ষমতা দেখিয়ে কাছারির জমিতে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করেছেন। লকডাউনে তিনি অফিসে না থাকার সুযোগে এই কাজ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ করায় আমাকে দেখে নেওয়াসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি আমার নিরাপত্তার জন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি।
ঈশ্বরের থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ভূমি কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।