পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ধাক্কা বাংলাদেশেও আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সেখানে অক্সিজেন ও বেডের জন্য প্রতিদিনই হাহাকার। ভ্যাকসিনের উৎপাদক দেশ হয়েও সেখানে ভ্যাকসিনের ঘাটতির অভিযোগ আসছে মিডিয়ায়। এ অবস্থায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিবেশী দেশের যে অবস্থা তার ধাক্কা আমাদের এখানেও লাগতে পারে। আমাদের কমে যাচ্ছে এটা মনে করে কোনও অবস্থায় আত্মবিশ্বাসী হলে চলবে না।
গতকাল ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আশঙ্কার কথা জানান মন্ত্রী। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা কখন কমে আর কখন বাড়ে তা বলা সম্ভব নয়। আমরা তো মার্চ মাসে ভেবেছিলাম করোনা চলেই গিয়েছে। হঠাৎ আবার এসে কোথায় আক্রান্ত ৩০০ থেকে ৭/৮ হাজারে চলে যায়। আমাদের দেশে প্রথম ঢেউয়ে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার যেখানে ষাটের ওপরে ওঠেনি সেখানে এবার ১১২ তে গিয়ে ঠেকেছে। এখনও ৬০/৭০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। এটা কখন যে আরও বেড়ে যাবে সেটা আমরা বলতে পারি না। আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও কারণ নেই।
তিনি বলেন, ভারতের মধ্যে আত্মতুষ্টি দেখা গিয়েছিল। যার কারণে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা থেকে তারা রক্ষা পাচ্ছে না। প্রতিবেশী দেশের এই যে বিপদজনক বার্তা, এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের মাস্ক পরতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ বিষয়ে আরও সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। আল্লাহর রহমতে আমাদের এখানে এখনও কোনও অক্সিজেন সংকট বা বেডে ঘাটতি সৃষ্টি হয়নি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিই এদেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিল। তিনি বলেন, মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফেনা তুললেও বিএনপিই এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ধারক ও বাহক। বিপরীতে শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রহণ করেছে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি।
গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ চলবে, এবং কোন ভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোন গাড়ী ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবানুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।